বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের দুর্নীতি আর নতুন কিছু নয়। কিন্তু দুর্নীতির নিত্য নতুন পদ্ধতি দেখে মানুষ হতবাক। এমন অভিনব দুর্নীতি বলেই তা আজকের অফবিট নিউজ।

 

আবাসের টাকাতেই নাকি তৈরি হয়ে গিয়েছে হোম স্টে। রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা। আবাসে বেলাগাম স্বজনপোষণের অভিযোগের মধ্যেই এই ছবি দেখা গেল টাকি পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে। এখানেই থাকেন রেশন ডিলার মানস দাস। অভিযোগ, একতলা পাকা বাড়ি থাকার পরেও আবাস ২০১৯-২০ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পান। সেই টাকাতেই হয় দোতলা। তারপর তিনতলা। বাড়ি পরিচিতিও ততক্ষণে গিয়েছে। সামনে এসেছে ‘ইচ্ছেডানা হোমস্টে’।

জানাজানি হতেই এলাকায় এই নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। রেশন ডিলারের অবশ্য দাবি, যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেছিলেন তখন তিনি বেকার ছিলেন। বাবার মৃত্যু পর তিনি রেশনের দোকান চালান। যদিও পুর প্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলছেন, আমরা যখন মানস দাসকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি তাঁর নামে বরাদ্দ করেছি তখন তিনি বেকার ছিলেন। টাকি পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারুক গাজির দাবি, তাঁকে নাকি হোম স্টে করার কোনও অনুমতিই দেওয়া হয়নি। টাকি পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,”জায়গা ছোট থাকার জন্য দোতলা বাড়ি করার অনুমতি পেয়েছিলেন। কিন্তু, উনি তিনতলা করে হোমস্টের সাইবোর্ড ঝুলিয়েছেন। খবর পাওয়া মাত্র ওনাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। জানানো হয়েছে সরকারি ঘরে হোম স্টে করা যাবে না।” একেই বলে আবাস দুর্নীতি, যার কোনো সীমা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *