বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ইউনুস সরকার গঠিত হবার পরে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে পাকিস্তানপন্থী জামাত গোষ্ঠীর হাতে – যাদের প্রধান শ্লোগান ভারত ও হিন্দু বিরোধিতা।
হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে। চলতি নভেম্বর মাসে তা আরও লাগামছাড়া হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৫ নভেম্বর ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন চট্টগ্রামের এক মুসলিম ব্যবসায়ী। ইসকনকে ‘জঙ্গি সংগঠন’-এর তকমা দেন তিনি। যার পরই স্থানীয় হিন্দুদের বিক্ষোভে কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নেয় চট্টগ্রাম। সেই বিক্ষোভ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর মাঝেই ইসকন মন্দিরের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা আনা হয়েছে। যা নিয়ে হিন্দুদের বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতেই আরও উস্কে দিলেন ওই দেশের
অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামানের মন্তব্য।
ফলে ভারতের সঙ্গে ইচ্ছে করেই দূরত্ব তৈরী করতে চাইছে বাংলাদেশ – কূটনৈতিক মহলের এমনই ধারণা। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে বাংলাদেশের হাই কোর্টে। মামলা দায়ের করেন এক আইনজীবী। আজ সেই আবেদনের শুনানিতে মামলাকারী মৃত আইনজীবী সইফুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টিও আদালতের নজরে আনেন। এর পর অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান আদালতের কাছে বাংলাদেশে ইসকনের প্রতিষ্ঠার নানা বিষয় তুলে ধরেন। তখনই তিনি বলেন, “এটি একটি ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন। সরকার ইসকন নিয়ে যাচাই শুরু করেছে।” স্বাভাবিক কারণেই মনে হচ্ছে এবার ইসকনকে হয়তো নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে বাংলাদেশ সরকার।