বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমী তিথিতেই জন্ম হয়েছিল লোকনাথ ব্রহ্মচারীর, ভক্তদের কাছে তিনি বাবা লোকনাথ নামেই পরিচিত।
তাঁর বিখ্যাত বাণী ‘রণে বনে জলে জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে, আমাকে স্মরণ করিও, আমিই রক্ষা করিব।’ ভক্তদের কাছে তিনি সাক্ষাৎ দেবতা। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে তার বহু ভক্ত। তিনি ভক্তদের সব সময় সৎ পরামর্শ দিতেন। তাঁর প্রধান কয়েকটি বাণী হলো –
* যারা আমার কাছে এসে আমার আশ্রয় গ্রহণ করে, তাদের দুঃখে আমার হৃদয় আর্দ্র হয়। এই আর্দ্রতাই আমার দয়া, এই আমার শক্তি যা তাদের উপর প্রসারিত হয় এবং তাহাদের দুঃখ দূর হয়।
* যে ব্যক্তি সকলের সুহৃদ এবং যিনি কায়মনোবাক্যে সকলের কল্যাণ সাধন করেন তিনিই যথার্থ জ্ঞানী।
* অন্ধকার ঘরে থাকলে, তোকে যদি কেউ জিগ্যেস করে তুই কে? তুই বলিস ‘আমি’। আমাকে যদি কেউ জিগ্যেস করে আমিও বলি ‘আমি’। নামে নামে যদি এত মিত্রতা হয়, তাহলে আমিতে আমিতে কেন মিত্রতা হতে পারে না?
* অর্থ উপার্জন করা, তা রক্ষা করা এবং তা খরচ করার সময় বিশ্বের দুঃখ ভোগ করতে হয়। অর্থ সকল অবস্থাতেই মানুষকে কষ্ট দেয়। তাই অর্থব্যয় হলে বা চুরি হলে তার জন্য চিন্তা করে কোন লাভ নেই।
* গর্ব কোরো, কিন্তু আহাম্মক হয়ো না। ক্রোধ কোরো, কিন্তু ক্রোধান্ধ হয়ো না।
* মন যা বলে শোনো,কিন্তু আত্মবিচার ছেড়ো না।কারণ মনের মতন প্রতারক আর কেউ নেই। মহাপুরুষদের বাক্য ও শাস্ত্র বাক্যের প্রতি মনে শ্রদ্ধা না থাকলে প্রকৃত আত্মবিচার করা সম্ভব নয়।
তাঁর ভক্তদের বিশ্বাস যে গুরুর আশীর্বাদে হিমালয়ের পর্বতের গুহায় একশো বছর তপস্যা করে তিনি সিদ্ধি লাভ করেন এবং ঈশ্বরের দর্শন লাভ করেন। দেব দর্শনের পর মানব কল্যাণ ও উদ্ধারের জন্য লোকালয়ে ফিরে আসেন লোকনাথ ব্রহ্মচারী। লোকালয়ে ফিরে এসে নানা উপদেশ দিয়ে তিনি মানুষকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন।