বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মন্দারমণির শতধিক হোটেল, লজ, হোমস্টে ভাঙ্গা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে ১৪০টি হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক।
শুক্রবার ছিল সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি। বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোটেল ভাঙার উপর অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ থাকছে। অর্থাৎ ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোটেলগুলির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। আগামী ১০ ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। ফলে কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে হোটেল মালিক ও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।
এই হোটেল ভাঙ্গা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন যে কোনো হোটেল ভাঙ্গা যাবে না। হোটেল মালিকদের তরফে আদালতে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন ওঠে, ১৯৯৯ সালের নির্দেশের পর, এখন কেন হোটেল ভাঙার কথা বলা হচ্ছে? আইনজীবী বলেন, “কমিটির যদি কোনও ক্ষমতা না থাকে বন্ধ করার, তাহলে সে কি পারে ভেঙে ফেলতে পারে? সেখানে একটা শিল্প চলছে। পর্যটক শিল্প।”এই নির্দেশে আপাতত স্বস্তি পেলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। হোটেল মালিক সংগঠনের নেতা চিত্তরঞ্জন দাস জানান, তাঁদের নোটিস বারবার দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সীমারেখা কোথায়, সেটা জানানো হয়নি। দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে উত্তর না আসায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এখন দেখার পরবর্তী শুনানিতে বিষয়টা কোন দিকে যায়!