বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নবান্নে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করার পরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, নিচু তলার একদল সরকারি কর্মী ও পুলিশ মানুষের থেকে টাকা নিচ্ছে। এটা তিনি কিছুতেই বরদাস্ত করবেন না।
মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা টেনেই শুক্রবার বিরোধী দোলনটা শুভেন্দু অধিকারী মুখ খোলেন। তিনি শুক্রবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত। আরও একবার সেই বক্তব্য রাখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী গতকাল যে কথা বলেছেন, তা অত্যন্ত অ্যালার্মিং। নিজের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন অবস্থায় তাঁর নিজের থেকেই পদত্যাগ করা উচিত।
শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল পুলিশের একাংশ সিআইডির প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন। দুর্নীতির সঙ্গে পুলিশ ও সিআইডির একটা অংশ জড়িয়ে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী সঠিক কথা বলেছেন। পুলিশ ও সিআইডি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে। কিন্তু তাদের দুর্নীতি করতে বাধ্য করা হয়েছে। এই কথার অবশ্য সমর্থন পাওয়া যায় বুধবার প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের মুখেও। তিনি বলেছিলেন, পুলিশকে দিয়ে খারাপ কাজ আমরাই করাচ্ছি। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর পারিবারিক প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে। ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে ১৬০০ কোটি টাকা তৃণমূল ঘরে তুলেছে। ডিয়ার লটারির প্রসঙ্গও তিনি আরও একবার উত্থাপন করেন। পশ্চিমবঙ্গে টেন্ডার দুর্নীতি চলছে। ট্যাব থেকে সাইকেল, সিসিটিভি ইনস্টলেশন থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। এই সব সংস্থা ইলেক্টোরাল বন্ডে টাকা দিয়েছে। এমনই অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেইসব কোম্পানিকে ব্ল্যাকলিস্ট করে হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানান তিনি। সেই প্রসঙ্গেই তিনি ইলেক্টোরাল বন্ডের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ইলেক্টোরাল বন্ডে নেওয়া টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হোক। তা না হলে ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রামকৃষ্ণ মিশন প্রভৃতি সংস্থাকে সেই টাকা দিয়ে দেওয়া হোক। এখন পর্যন্ত তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুভেন্দুর বক্তব্যর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।