বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:মনসা হিন্দুদের অন্যতম এক পূজ্য দেবী। নদী-নালায় পূর্ণ বাংদেশে সাপের আক্রমন থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্যই দেবী মনসার পুজো করা হয়। এই মনসা যেহেতু কোনো বৈদিক দেবী নয়, তাই তাঁর জন্ম নিয়ে একাধিক কিংবদন্তি আছে। তারমধ্যে প্রধান দুটি কাহিনী হলো –
১) পুরাণের ভাষ্য অনুযায়ী ব্রহ্মার নির্দেশে কশ্যপ মুনি সর্প বিষনাশক মন্ত্র রচনাকালে ধ্যানমগ্নাবস্থায় মন্ত্রের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর আবির্ভাব ঘটে এবং তার মন থেকে আবির্ভাব ঘটায় দেবীর নাম হয় মনসা। পরবর্তী সময়ে তাকে বিয়ে দেওয়া হয় জরৎকারু মুনির সঙ্গে। মহাভারতে কশ্যপ ও কদ্রুর বিয়ে এবং তাদের ঘরে সহস্র সর্পের জন্ম সে সঙ্গে জরৎকারু ঋষির সঙ্গে সর্পরাজ বাসুকির বোন জরৎকারুর বিয়ে এবং আস্তিক মুনির জন্মলাভের কাহিনী বিবৃত হয়েছে।
২) মঙ্গলকাব্যে শিবের কন্যা হিসেবেও দেখানো হয়েছে মনসাকে। বাংলায় শিব এক অতিসাধারণ হতদরিদ্র দেবতা যিনি কুঁড়েঘরে বাস করেন, যার সঙ্গে সমুদ্র মন্থনে প্রাপ্ত অনল পানকারী ত্রিশূলধারী পৌরাণিক শিবের অনেক পার্থক্য। বাংলায় শিব সাধারণের আপনজন হিসেবে ‘প্রভু’ ও ‘গোসাই’ হিসেবে পরিচিত- যার প্রতীক লাঙল। মঙ্গলকাব্যের এ কাহিনীর মধ্যে লুকিয়ে আছে সাধারণের মধ্যে প্রবল জনপ্রিয় এক দেবীর অনেক প্রচেষ্টার পর উচ্চবর্গের স্বীকৃতি আদায়ের বিবরণ। কোনো কোনো মনসামঙ্গল কাব্যে মনসার আরেক নাম সিদ্ধযোগিনী।