বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আধুনিকতার একটা বড়ো উপহার নতুন নতুন প্রসাধনী। কম্পানিগুলো তো ব্যবসার জন্য নতুন নামে অজস্র প্রসাধনী বাজারে ছেড়ে চলেছে। আমরাও তা ব্যবহার করছি। সম্প্রতি একাধিক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে যা জানলে ভয় পেতে হয়।

 

বেশিরভাগ নারী রুপচর্চায় প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন৷ তবে সব প্রসাধনী কিন্তু ত্বকের জন্য ভালো নয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে ত্বক খুবই স্পর্শকাতর। প্রসাধনীর কিছু রাসায়নিক উপাদান নারীর জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে৷ প্রসাধনী থেকে হতে পারে ক্যান্সার।

গবেষণায় দেখা গেছে,এই জাতীয় অত্যাধুনিক প্রসাধনীর সাইড এফেক্ট হতে পারে একাধিক। যেমন –

১) যৌন হরমোনকে প্রভাবিত করতে পারে – বিভিন্ন প্রসাধন সামগ্রীতে থাকা রাসায়নিক পদার্থ বা কেমিক্যাল নারীদের যৌন হরমোনকে প্রভাবিত করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা এক সমীক্ষা থেকে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷

২) প্রস্রাবে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ –

১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সি মোট ১৪৩ জন নারীর ৫০০ বারের প্রস্রাব নিয়ে করা হয় গবেষণাটি, যার মধ্যে ছিল আলট্রা ভয়োলেট ফিল্টার, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল প্রিজারভেটিভস, বিসফেনল এ, এবং ক্লোলোফেনলস৷

৩) ইস্ট্রজেন হরমোন –

আলট্রা ভায়োলেট ফিল্টার এবং ফেনোলস ,ফোলিক স্ট্রিমুলেশন হরমোন এবং লুইটিনিজিং হরমোনের মাত্রা কমায় ঠিকই, তবে প্যারাবেস হরমোন এবং ডিম্বাশয়ের উত্পাদিত প্রধান হরমোন ইস্ট্রজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

৪) স্তন ক্যানসার –

প্রসাধনীর কিছু কেমিক্যালস স্তন ক্যান্সারের মতো এস্ট্রোজেন-নির্ভর রোগগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে বলে জানান গবেষকরা৷

তাই সব দিক বিবেচনা করেই প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত। আর যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *