বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:বাঙালি মানেই ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। কিন্তু মাছের বৈচিত্র থাকলেও মাছ রান্নার বৈচিত্রের এভাবে অনেক সময় খেতে ইচ্ছে করে না। তাই আজ অসমাদের রেসিপি কাতলা মাছের রেজালা।

 

উপকরণ –

১.কাতলা মাছ

২. টক দই

৩. পেঁয়াজ কুচি

৪. আদা রসুন বাটা

৫. তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, দারুচিনি, ছোট এলাচ

৬. গোলমরিচ, লবঙ্গ, জয়িত্রী

৭. কাজু, কিশমিশ

৮. গোলমরিচ গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো

৯. গোলাপ জল ও কেওড়ার জল

১০. পরিমাণ মত নুন

১১. রান্নার জন্য সাদা তেল ও ঘি

প্রণালী –

প্রথম পর্ব – প্রথমেই মাছগুলোকে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নুন মাখিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিতে হবে। এই সময় অন্য দিকে ২-৩তে পেঁয়াজ কুচিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর সেটা ঠান্ডা করে মিক্সিতে নিয়ে কাজু কিশমিশ দিয়ে একটা পেস্ট তৈরী করে নিতে হবে।

দ্বিতীয় পর্ব – এদিকে ১৫ মিনিট মত রাখার পর কড়ায় কয়েক চামচ সাদা তেল গরম করে তাতে মাছের টুকরোগুলোকে ভেজে নিতে হবে। তবে খুব বেশি ভাজতে হবে না কারণ রেজালাতে মাছ বেশি ভাজতে নেই। মোটামুটি ভাজা হলেই মাছগুলোকে তুলে আলাদা করে রেখে দিন।

তৃতীয় পর্ব – এবার কড়ার তেল পাল্টে নতুন তেল আর সামান্য ঘি দিয়ে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, দারুচিনি, ছোট এলাচ ফোঁড়ন দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিন। তারপর আদা রসুন বাটা দিয়ে আরও ৩০ সেকেন্ড নেড়েচেড়ে নিতে হবে। এরপর তৈরী করা পেঁয়াজের পেস্ট কড়ায় দিয়ে কষতে শুরু করতে হবে।

চতুর্থ পর্ব – তেল ছেড়ে বেরিয়ে আসা অবধি কষিয়ে নিন। তারপর ৩ চামচ মত ফেটানো দই দিয়ে সবকটা আবারও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। এই সময় পরিমাণ মত নুন ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ৫-৭ মিনিট ভালো করে কষিয়ে নিন।

পঞ্চম পর্ব – ৫ -৭ মিনিট পর আধকাপ মত গরম জল দিয়ে সবটা ফুটতে শুরু করলে ভেজে রাখা মাছের টুকরো গুলো কড়ায় দিয়ে দিন। একই সাথে পরিমাণ মত গরম মশলা গুঁড়ো, এক চামচ করে গোলাপ জল ও কেওড়ার জল আর সামান্য চিনি দিয়ে আরও ২-৩ মিনিট রান্না করে নিলেই দুর্দান্ত স্বাদের কাতলা মাছের রেজালা একেবারে তৈরী। প্রিয় মানুষদের আনন্দে পরিবেশন করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *