বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:দিন তিনেক ধরেই তৃণমূলের অন্দরে বিতর্ক তৈরী হয়েছে স্বাধীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। তার আগেই অবশ্য সৌগত রায় এই বিতর্ককে উস্কে দিয়েছিলেন। তারপর ঘটে যায় কসবা কান্ড।

 

মুখ খোলেন ফিরহাদ হাকিম। এর পরেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদন মিত্র। তৃনাঙ্কুর সম্পর্কে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “কার আশীর্বাদের হাত মাথায় আছে যে এখনও ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি আছে?” নিশানায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। ছেড়ে কথা বললেন না তৃণাঙ্কুরও। বললেন, “দল নিশ্চিতভাবে হিসেব রাখছে। বিচার করবে।” তাঁর নিশানায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আবার সেই আসরে মদন মিত্র। বললেন, “বড় বড় কথা বলছে। যেন মমতারও ওপরে।” তাঁর নিশানাতেও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যাপারটা এখানেই শেষ হয় নি। খেলা চলছে। মদন মিত্র সম্পর্কে কল্যাণকে বলতে শোনা যায়, দু’বছরের জেল খাতা আসামী।

তার আগেই অবশ্য মদন মিত্র মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, তিনি উপ নির্বাচনে ৩৩ হাজার ভোটের জিতেছেন, আর কল্যাণ আসানসোলে হেরে মমতার পায়ে ধরে শ্রীরামপুরের মতো একটা সেফ সিট নিয়ে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ”বড় বড় কথা বলছে। যেন মমতারও ওপরে।” এর পরেই মদন চলে আসেন ‘তুই’ সর্বনামে। এক সাংবাদিককে বলেন, “তুই জানিস না তৃণাঙ্কুরের মাথায় কার হাত আছে? ক্ষমতা থাকলে তাকে গিয়ে বল? ফাল্তু ভাট বকে। ভেবেচিন্তে বল কাকে বলছিস। কথা ঠিকঠাক বল। কোথা থেকে কোথায় পা হড়কে যাবে, মুস্কিল হয়ে যাবে। এমনিই তো তেলে জলে রয়েছিস।” আশ্চর্যের বিষয় এই বিতর্ক নিয়ে মমতা বা অভিষেককের কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায় নি। তবে নাগরিক মহল উপভোগ করছে এই রাজনৈতিক কেচ্ছা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *