বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:একেই বলে প্রশাসনিক জটিলতা। একে অবশ্য অনেকে সাংবিধানিক সংকট বলছেন। মূল বিষয় হলো পরিবেশের তোয়াক্কা না করে অবৈধ নির্মাণ ভাঙ্গা উচিত কি না! নির্দেশ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি আর তাকে চ্যালেঞ্জ করে বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

বেশ কয়েক দিন ধরেই এটা নিয়ে চলছিল বেশ উত্তেজনা। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হয়তো তা বন্ধ হলো, কিন্তু ‘অবৈধ নির্মাণ’ শব্দটা কিন্তু থেকে গেলো। মঙ্গলবার বিকেলে নবান্ন সূত্রে জানা যায় মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া প্রতিক্রিয়া।

নবান্ন সূত্রে খবর, মন্দারমণি এবং তার সংলগ্ন এলাকার যে হোটেলগুলি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন,তাতে স্তম্ভিত মুখ্যমন্ত্রী। কোনওরকম বুলডোজার চলবে না, নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি, মুখ্যসচিবের সঙ্গে কোনও আলোচনা-পরামর্শ ছাড়াই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর CRZ (কোস্টাল রেগুলেটেড জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি)-র জেলা কমিটির তরফে মন্দারমণি এবং সংলগ্ন আরও চারটি মৌজায় ১৪০টি হোটেল, লজ, রিসর্ট এবং হোম স্টে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০ নভেম্বরের মধ্যে ওই সব বেআইনি নির্মাণ ভেঙে জায়গা পরিষ্কার করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি হোটেল নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন। এবার মমতার বাঁধাতে কি কোনো সাংবিধানিক সংকট তৈরী হলো?

প্রসঙ্গত মনে রাখতে হবে, উপকূলে কোনো নির্মাণ করতে গেলে তার নিজস্ব কিছু নিয়ম আছে। আর সেই নিয়মকে মান্যতা না দিয়েই এইসব নির্মাণ হয়েছিল। ২০২২ সালে এই বেআইনি হোটেলগুলি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। উপকূলবিধি না মেনেই ওই হোটেলগুলি গড়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ। এর মধ্যে শুধু দাদনপাত্রবাড়েই রয়েছে ৫০টি হোটেল, সোনামুইয়ে ৩৬টি, সিলামপুরে ২৭টি। মন্দারমণিতে ৩০টি হোটেল এবং দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর মৌজায় একটি লজ ছিল সেই তালিকায়। এ সবই ভাঙা পড়ার কথা পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মতো। এখন যে প্রশ্নটা সামনে এসেছে তা হলো, কোন নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া উচিত- আদালতের না মুখ্যমন্ত্রীর? ভবিষ্যত এর উত্তর দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *