বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:কর্মীদের বিক্ষোভকে গুরুত্ব দিল না বিজেপি! ফের ডাঃ সুভাষ সরকারের (Subhas Sarkar) উপরেই আস্থা রাখলো গেরুয়া শিবির।
প্রার্থী করা হল সৌমিত্র খাঁ’কেও। শনিবার বিজেপির তরফে দিল্লি থেকে লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে দলের তরফে ডাঃ সুভাষ সরকার ও সৌমিত্র খাঁ এর নাম ঘোষণা করা হয়।
আর এরপরেই আনন্দোৎসবে মেতে উঠেছেন ওই দলের নেতা কর্মীরা। শনিবাসরীয় সন্ধ্যায় বাঁকুড়া জেলা বিজেপি সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ডাঃ সুভাষ সরকারের ছবি নিয়ে রাস্তায় নেমে তাঁদের নামে জয়ধ্বণী দিতে থাকেন। সঙ্গে আতসবাজির রোশনাই তো ছিলই (Bankura Lok Sabha Election 2024) ।
বাঁকুড়া জেলা বিজেপি সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল এদিন বলেন, ডাঃ সরকার ফের দলের প্রার্থী হবেন এটা প্রত্যাশিতই ছিল। আবারো বাঁকুড়ার মানুষ তাঁকেই জয়যুক্ত করবেন। উনি বাঁকুড়ার সাংসদ হিসেবে যতোখানি কাজ করেছেন স্বাধীনতার পর কোন দলের কোন সাংসদ এতো কাজ করতে পারেননি বলে তিনি দাবি করেন।
যদিও এদিন সকালেই বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে আসে। বাঁকুড়া শহরের ‘প্রাণকেন্দ্র’ হিসেবে পরিচিত মাচানতলায় শনিবার ডাঃ সুভাষ সরকারের ছবিতে কালী দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। সঙ্গে দলীয় পতাকা হাতে ‘অপদার্থ সুভাষ সরকার দূর হটো’, ‘তৃণমৃলের দালাল সুভাষ সরকার দূর হটো’ আর ‘আপনাকে মানছিনা’ বলেও স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রথমবার গত ১২ সেপ্টেম্বর শহরের নতুনগঞ্জে দলের জেলা কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি থেকে ‘বহিস্কৃত’দের একাংশ। তারপর সেই সময় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সুভাষ সরকারের বিরোধীতা করে পথে নেমেছিলেন দলেরই নেতা কর্মীদের একটা অংশ।
তারপর অতি সম্প্রতি বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার ‘ভাইরাল’ অডিও ক্লিপে ডাঃ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে শোনা গেছে। এমনকি ওই ‘ভাইরাল’ অডিও ক্লিপে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ‘তোলাবাজ’ বলেও উল্লেখ করতে শোনা গেছে।
যদিও বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কৌশিক সিং নিজেকে দলের ‘প্রাক্তন বিধানসভা কনভেনর’ দাবি করে বলেন, উনি সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা বিজেপি কর্মীদেরও পাশে দাঁড়াননি। ‘চামচা’দের নিয়ে দল পরিচালনার জন্য প্রতিটি নির্বাচনে আমরা হারছি।
এছাড়াও গত পাঁচ বছরে সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে পাওয়া ১৭ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র পাঁচ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছেন। ১২ কোটি টাকার উন্নয়ন থেকে বাঁকুড়ার মানুষ বঞ্চিত। এছাড়াও ডাঃ সুভাষ সরকার ও অমিতাভ চক্রবর্ত্তী ‘সিণ্ডিকেট রাজ’ কায়েম করেছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। এই অবস্থায় সেই সুভাষ সরকারের উপরেই আস্থা রাখল বিজেপি। কিন্তু গতবারের মতো এবারও খেলা ঘোরাতে পারবেন তো?