বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আবাসন দখল করে বসছে জুয়ার ঠেক। সেখানে ছুটছে মদের ফোয়ারা। অভিযোগ, জুয়া থেকে ওঠা লক্ষ লক্ষ টাকার কিছু অংশ ক্যাম্পাসের কালীপুজোর খরচ হিসেবে দেওয়া হয়। বাকি টাকা কয়েকজনের মধ্যে ভাগ হয়।
অভিযোগ, সবকিছু জেনেও কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চুপচাপ বসে রয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেছেন, ‘হাসপাতাল চত্বরে কোনও পুজোর অনুমতি আমরা দিইনি। জুয়ার খবর পেয়েই পুলিশকে জানানো হয়েছে।’
কলেজ অধ্যক্ষ ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহার বক্তব্য, ‘চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের আবাসনে জুয়ার আসর বসার অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে। আমি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ নিশ্চয়ই পদক্ষেপ করবে।’ শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের ডিসিপি (ওয়েস্ট) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেছেন, ‘পুলিশ অভিযোগ পেলে নিশ্চয়ই আবাসনে অভিযান চালাবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বেশ কিছু আবাসন দীর্ঘদিন ধরে জবরদখল হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের আবাসনগুলির অধিকাংশই বহিরাগতদের দখলে। অভিযোগ, অনেক আবাসনেই দীর্ঘদিন ধরে মদ ও জুয়ার আসর সহ অন্য অসামাজিক কাজকর্ম চলছে। হাসপাতাল কর্তাদের বক্তব্য, আবাসনগুলি দখলমুক্ত করতে একাধিকবার তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে কোনও নির্দেশ না আসায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তবে, অসামাজিক কাজকর্ম যে চলছে, তা স্বীকার করেছেন হাসপাতাল সুপার।