বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:এই মুহূর্তে উন্মত্ত জয়নগরের মহিষামারি। শুক্রবার রাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পিয়ালি নদীর তীরে এই ঘিঞ্জি জনপদ। শনিবার সকালে পুলিশ জনতা একাধিকবার খণ্ডযুদ্ধ হয় এলাকায়।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ সময় মতো তৎপর হলে বাঁচানো যেত ১০ বছরের ওই কিশোরীকে। শুক্রবার রাতেই মহিষমারি ফাঁড়িতে ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। শনিবার সকালে ফের ফাঁড়িতে হানা দেয় জনতা। ফাঁড়িতে আরেক দফা ভাঙচুরের পর আসবাব ও কাগজপত্র বাইরে বার করে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। এমনকী পুলিশ ফাঁড়ির এক কর্মীকে ঝাঁটাপেটা করতে দেখা যায় স্থানীয়দের। SDPOকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। দফায় দফায় পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধ হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ব্যস্ত এই হাটে। পুলিশের উপর যেন জাত ক্রোধ তৈরী হয়েছে সাধারণ মানুষের। দিশেহারা পুলিশ।

মানুষের তীব্র ক্ষোভ মহিষামারি পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে। জনরোষে আগুন জ্বলতে থাকে ফাঁড়িতে। খবর পেয়ে জনরোষ নিয়ন্ত্রণে বারুইপুর পুলিশজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহিষমারিতে পৌঁছে যায় পুলিশবাহিনী। পৌঁছন পুলিশ আধিকারিকরা। এর পর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে স্থানীয়দের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুঁড়তে শুরু করে পুলিশ। একাধিক বিক্ষোভকারীকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেন পুলিশকর্মীরা। বেশ কয়েক ঘণ্টা পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধ চলার পর অবশেষে এলাকার দখল নেয় পুলিষ। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে আসেপাশের একাধিক থানার পুলিশবাহিনী ও আধিকারিকরা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। ফাঁড়তে অভিযোগ জানাতে গেলে ২০ কিলোমিটার দূরে জয়নগর থানায় যেতে বলা হয় কিশোরীর অভিভাবককে। এর পর স্থানীয়রাই সন্দেহভাজন এক যুবককে জেরা করা শুরু করেন। জেরার মুখে কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের কথা স্বীকার করে সে। তারপরেই উন্মত্ত জানতার হাতে মার খায় ওই যুবক। শেষে পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *