বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি বিজেপির চাপেই, দাবি তাঁর।
সন্দেশখালির মা-বোনেদের সম্ভ্রম রক্ষায় বিজেপির নেতা-কর্মীরা যে লড়াই চালিয়েছেন তার প্রশংসা করেছেন মোদী। লোকসভা ভোটের আগে মোদীর কথায় উঠে এসেছে রাজা রামমোহন রায়ের কথাও।
হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে জন্মেছিলেন রাজা রামমোহন রায়। সেই জেলায় দাঁড়িয়েই এদিন মোদী বলেন, মা-মাটি-মানুষের হয়ে ঢোল পেটানো টিএমসি সন্দেশখালির মা-বোনেদের সঙ্গে যা করেছে তা দেখে গোটা দেশ দুঃখিত, আক্রোশিত। আমি নিশ্চিত, রাজা রামমোহন রায়ের আত্মা এদের কাজকর্ম দেখে দুঃখ পেয়েছেন, কাঁদছেন।
মোদী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বোন-বেটিদের সঙ্গে দুঃসাহসের সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা যখন একজোট হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চাইলেন, তখন বদলে কী মিলল? মুখ্যমন্ত্রী দিদি, বাংলার সরকার টিএমসি নেতাকে বাঁচাতে পুরো শক্তি লাগিয়ে দিলেন!
মঞ্চে বসে থাকা বিজেপি নেতাদের দেখিয়ে মোদী বলেন, এঁরা সকলেই দিন-রাত মা-বোনেদের সম্মানের জন্য লড়াই চালিয়েছেন, লাঠির মার খেয়েছেন, অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে তাঁদের। বিজেপির চাপে পড়ে গতকাল বাংলার পুলিশ ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে, জনগণের দাবির কাছে নতিস্বীকারে বাধ্য হয়েছে।
মোদী বলেন, টিএমসির রাজত্বে টিএমসির অভিযুক্ত নেতা প্রায় ২ মাস ফেরার ছিল। কেউ না কেউ তো তাকে বাঁচাচ্ছিল। এমন টিএমসিকে কি মাফ করবেন? মা-বোনেদের সঙ্গে যা হয়েছে তার বদলা নেবেন, কি নেবেন না? চোরদের জবাব ভোটেই দিতে হবে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশের দিকে ইঙ্গিত করে মোদী বলেন, বাংলার জনতা মুখ্যমন্ত্রী দিদির কাছে জানতে চাইছেন, কিছু সংখ্যক ভোট কি সন্দেশখালির মা-বোনেদের সম্মানের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ? এতে লজ্জা হওয়া উচিত। ইন্ডিয়া জোটের বড় বড় নেতারা সন্দেশখালি ইস্যুতে গান্ধীজির তিন বাঁদরের মতো চোখ, কান, নাক-মুখ বুজে বসে রয়েছেন!
ইন্ডিয়া জোটকে নিশানা করে মোদী বলেন, পাটনা, মুম্বই, বেঙ্গালুরুতে সকলে মিলে বৈঠক করে। কিন্তু এখানে কি বাম-কংগ্রেস সন্দেশখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার সাহস দেখিয়েছেন? সন্দেশখালির পীড়িতদের পাশেও তাঁদের দেখা যায়নি। কংগ্রেসের সভাপতি চমকে দেওয়ার মতো কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আরে ছাড়ো! বাংলায় এমন ঘটনা হতেই থাকে! এটা কি বাংলার অপমান নয়? প্রশ্ন তোলেন মোদী।