বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন অনুপম রায়। পাত্রী প্রশ্মিতা। তিনিও সঙ্গীতশিল্পী। অনুপমের সুরেও গান গেয়েছেন। পিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের আগে থেকেই নাকি প্রেম রূপ নিয়েছিল প্রশ্মিতার সঙ্গে। প্রশ্মিতারও কিন্তু এটা দ্বিতীয় বিয়ে।
অনেকেই হয়তো জানেন না সেকথা। এর আগে একবার বিয়ের পিঁড়িতে প্রশ্মিতা বসেছিলেন। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। নানা কারণে সেই দাম্পত্যে চিড় ধরেছিল। তারপরেই বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছিলেন তাঁরা। কাজেই অনুপমের সঙ্গে বিয়ে তাঁর প্রথম বিয়ে নয়। দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন শিল্পী।
পিয়ার সঙ্গে পরমের বিয়ের মাস দেড়েক যেতে না যেতেই ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ঘোষণা করেন অনুপম রায়। নেটপাড়ায় একেবারে চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা। কারণ এতোদিন পরমব্রত-পিয়ার বিয়ে নিয়ে ট্রোলিং হয়নি। পরমব্রকত কে বউ-চোর তকমাও দেওয়া হয়েছিল। যদিও তাতে খুব বেশি আমোল দেননি পরম বা পিয়া কেউই।
পরমব্রতর সঙ্গে নাকি বিচ্ছেদের আগে থেকেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল পিয়ার। এরকম নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল নেটপাড়ায়। অনুপম নাকি শোকে সন্তপ্ত হয়ে রয়েছেন। অনুপমের সঙ্গে ঠিক হয়নি। এরকম নানা কমেন্টে ভরে গিয়েছিল পরম-পিয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। মানে যাকে বলে পরমব্রতকে ভিলেনের ভূমিকায় বসিয়ে ছেড়েছিলেন তাঁরা। পিয়া হয়ে গিয়েছেন বিশ্বাসঘাতক।
তার দেড় মাসের মাথায় পরমব্রতর বিয়ের কথা ঘোষণা সেই নেটপাড়াকে যাবে বলে চমকে দিয়েছে। ২০১১ সাল থেকেই প্রশ্মিতার সঙ্গে পরিচয় অনুপমের। তারপরে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টলিউডের একাধিক হিট বাংলা গানে গেয়েছেন প্রশ্মিতা। বেশিরভাগটাই রাজ চক্রবর্তীর সিনেমায়। কাঠমাণ্ডু ছবিতে প্রথম অনুপমের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি । তখন থেকেই পরিচয়। তারপরে ধীরে ধীরে সম্পর্কের পথে পা বাড়িয়েছিলেন তাঁরা।
তারপরেই জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে কি পিয়া সেকথা বুঝতে পেরেই অনুপমের জীবন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এই নিয়ে এখন জল্পনার শেষ নেই। যদিও অনুপমের বিয়ের খবর শুনে পরম এবং পিয়া দুজনেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এবার প্রশ্ন হচ্ছে এবার কি অনুপমকে ট্রোল করতে শুরু করবেন নেটিজেনরা। প্রশ্মিতা অবশ্য আগেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছেন ট্রোলিং নিয়ে তাঁর কিছু যায় আসে না।
অনুপমের তৃতীয় বিয়ে আর প্রশ্মিতার দ্বিতীয়। কাজেই তাঁরা আর ঘটা করে কিছু চাইছেন না। একেবারকে আইনি মতে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করবেন তাঁরা। পরিবারের লোকেরাই কেবল উপস্থিত থাকবেন সেই অনুষ্ঠানে। বাইরের আর কাউকেই তাঁরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন না। একেবারে ঘরোয়া ভাবেই হবে বিয়ের অনুষ্ঠান।