বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর অপহরণ কাণ্ডে এবার চাঞ্চল্যকর মোড়। নিখোঁজের আট দিনের মাথায় নিখোঁজ যুবককে দিল্লি থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। ধার দেনা হয়ে যাওয়ায় নিজেই নিজেকে অপহরণের নাটক?মুক্তিপণের দাবি করে আত্মীয়দের নাম্বারে মেসেজ!

 

এমনকি নিজের ঘুমন্ত অবস্থার ছবি পাঠিয়ে পরিবারের লোককে দুশ্চিন্তায় ফেলার চেষ্টা। প্রাথমিক ভাবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। নতুন গাড়ি কেনার জন্য এবং শশুরের কাছে ধার ছিল মেনে নিচ্ছে পরিবার। যদিও তাদের ছেলে নিজেই নিজেকে অপহরণ করেছে কি না সেটা তারা এখনো মানতে নারাজ। তবে ছেলে উদ্ধার হওয়ায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে পরিবার। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত নতুন সাদলিচকের বাসিন্দা আমিজুল হক পেশায় লরি চালক। চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে হঠাৎ তিনি নিখোঁজ হয়ে যান।কুমেদপুর ফাঁড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আমিজুলের ফোন নাম্বার ট্র্যাক করা হয়। তবে ক্রমাগত লোকেশন পরিবর্তন করছিল সেই নাম্বার।যার কারণে বেগ পেতে হচ্ছিল পুলিশকে। তার মাঝেই আমিজুলের নাম্বার থেকে হোয়াটসঅ্যাপে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণের মেসেজ আসে। যেখানে দাবি করা হয় তাকে অপহরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আবার তার ঘুমন্ত অবস্থার একটি ছবি আসে তার নাম্বার থেকেই। যে ছবি দেখে তার পরিবারের লোক আতকে ওঠে। তারা ভাবে হয়তো মুক্তিপণ দিতে না পারায় তাদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে এবং নিজেদের ছেলেকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে কুমেদপুর ফাঁড়ির সামনে বুধবার তারা বিক্ষোভ করে। এমনকি তারা অভিযোগ করে এক সিভিক বলছে তাদের ছেলে নাকি অপহরণের নাটক করছে। এদিকে আমিজুলের লোকেশন ট্র্যাক করার পর হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ দেখে দিল্লিতে একটি স্থায়ী জায়গায় তার লোকেশন রয়েছে বারো ঘন্টা ধরে। দরিয়াগঞ্জ দেখাচ্ছে সেই লোকেশন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার তৎপর হয়ে তার দুই অফিসার কে দিল্লি যাওয়ার নির্দেশ দেন।সেখানে পৌঁছে তারা আমিজুলকে উদ্ধার করে বাড়ির পথে রওনা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আমিজুল নিজেই সম্পূর্ণ নাটক করছিল। হয়তো তার ধার দেনার কারণেই সে এটা করছিল। পরবর্তীতে এখানে এনে তদন্ত করলে সবটা স্পষ্ট হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এদিকে আমিজুলকে উদ্ধারের খবর পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে পরিবার। পরিবার সূত্রে জানা গেছে তার শশুরের কাছে দেড় লক্ষ টাকা ধার ছিল। এছাড়াও নতুন গাড়ি কেনার জন্য কিছু ধার ছিল। তবে এছাড়া তার কোন ধার দেনা নেই। সেইটুকু ধারের কারণে আমিজুল এমন নাটক করবে কি না, সেটা মানতে নারাজ পরিবার। যদিও তারা পুলিশের উপর আস্থা রেখেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *