বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে ন্যায়বিচার চেয়ে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। নবান্ন ও কালীঘাটে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকও ভেস্তে গিয়েছে।

 

এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমের একাংশে দাবি জানানো হয়, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আন্দোলন জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন। যদিও এ কথা সম্পূর্ণ ভুয়ো, দাবি আন্দোলনরত চিকিৎসকদের।

সংবাদমাধ্যমের একাংশ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে ১২ ঘন্টা কাজ করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাল্টা দাবি, আমরা কাজে যোগ দিইনি।

আন্দোলনকারী চিকিৎসরা অভয়া ক্লিনিক চালাচ্ছেন আজ প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও। সেখানে অনেক রোগীই চিকিৎসা করাতে আসছেন। বিনামূল্যে চিকিৎসার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের কথা, রোগীদের স্বার্থে আগেও যেমন সহযোগিতা করেছি, আগামী দিনেও তা করব। তবে আন্দোলন থেকে সরার প্রশ্ন নেই। বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়ে আমাদের আন্দোলনকে লঘু করার চেষ্টা করবেননা।

আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা অভয়া ক্লিনিকে টাঙিয়ে রেখেছেন, বর্হিবিভাগ ও হাসপাতালে নানা বিভাগে প্রতিদিন পরিষেবা পাওয়া রোগীদের তালিকা। তাঁদের কথায়, হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না এ কথা ভুল। আমাদের সিনিয়র চিকিৎসকদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কাজে যোগ দিয়েও আমরা রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছি। সহযোদ্ধাদের পাশে আমরা আছি, লড়াই যেমন একসাথে লড়ছি, আগামী দিনেও সেই একইভাবে লড়ব।

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ‘অভয়া মঞ্চে’ জুনিয়র ডাক্তারদের অভয়া ক্লিনিকে রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হলো। সাপ্তাহিক ছুটি ও বৃষ্টি মূখর দিনেও ‘অভয়া ক্লিনিক’ ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। রোগী পরিষেবার পরিসংখ্যানের পাশাপাশি শূন্যপদের খতিয়ানও টাঙিয়ে রাখা হয়েছে।

আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, রোগী না দেখলে আমাদের প্রাণ কাঁদে। কিন্তু ‘অভয়া’র বিচার চেয়ে ও অপরাধ চক্রের বিনাশ চেয়ে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সাধারণ রোগীদের কথা ভেবেই অভয়া ক্লিনিক চালু হয়েছে ও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *