বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:পেশাগত দুষ্কৃতীদের দিয়ে চিকিৎসকদের উপর হামলার চক্রান্ত করা হয়েছিল। এমনকি নবান্ন থেকে ফেরার পরেই হামলার ছক কষা হয়েছিল। এমনটাই দাবি করল বিধাননগর কমিশনারেট। গত পাঁচদিন কেটে গিয়েছে। এখনও স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা।
আর সেই অবস্থানে (Kalatan Dasgupta Arrest) হামলার ষড়যন্ত্র করা হয় বলে শুক্রবার বিস্ফোরক দাবি করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এমনকি একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস করেন। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।
আর সেই অডিও ক্লিপের ভিত্তিতেই স্বতঃপ্রণোদিত একটি মামলা দায়ের করে বিধাননগর কমিশনারেট। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতেই হালতু থেকে সঞ্জীব দাস বলে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেট।
তাঁকে জেরা করে দ্বিতীয় ব্যক্তি অর্থাৎ সিপিএমের রাজ্য কমিটির যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তের নাম সামনে আসে বলে দাবি। আর এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও সবটাই ষড়যন্ত্র বলে দাবি। যদিও পুলিশের দাবি অডিও ক্লিপের সত্যতা আছে। ঘটনার পরেই আজ শনিবার বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়।
ডিসি অনীশ সরকার এই সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, গোপন সূত্রে অডিয়ো ক্লিপ আমাদের হাতে আসে। এরপরেই সেটিকে কমিশনারেটের টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস উইং এবং ইনভেস্টিগেটিভ উইং’য়ের আধিকারিকরা যাচাই করে। এরপরেই স্পষ্ট হয় সেটি সত্য। এই নিয়ে কোনও সংশয় নেই বলে জানান ওই পুলিশ আধিকারিক।
শুধু তাই নয়, ডিসি অনীশ সরকার জানান, এরপরেই সাইবার টিম পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। ঘটনার সূত্র ধরে হালতু থেকে সঞ্জীব দাসকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সঞ্জীব দাস মেনে নিয়েছে যে গলাটা ওদের।এমনকি তাঁকে জেরা করে কলতান দাসগুপ্তের খোঁজ পাওয়া যায় বলে দাবি আধিকারিকদের। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার। দুজনকেই ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়ার দাবি আদালতে জানানো হবে বলে বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে।
এরপরেই ভয়েস স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট আসলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে ওডিও ক্লিপে আরও বেশ কয়েকটি নাম সামনে এসেছে। যেমন- সাহেব, দাদু এবং বাপ্পা! তাঁরা কে? এই বিষয়ে ধৃত দুজনকে জেরা করা হবে বলেও এদিন জানিয়েছেন বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি অনীশ সরকার। ধৃতদের বিরুদ্ধে নতুন ভারতীয় ন্যায় সংহতিতে ২২৪, ৩৫২, ৩৫৩ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
অন্যদিকে থানায় নিয়ে আসার সময় ধৃত ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্ত জানান, আমাকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে যখন আন্দোলন চলছে তখন নজর ঘোরাতে এসব করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ বাম যুব নেতার।