বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: একটা বিষয় নাগরিক মহলে কিছুতেই পরিষ্কার হচ্ছে না যে কেন শুধুই এই মিটিংয়ের জন্য সরকার পক্ষের লাইভ স্ট্রিমিং এর ব্যাপারে এতো আপত্তি। অনেক নাটকীয়তার পরে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে স্বাস্থ্য ভবনে আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে পৌছান। আবার একই কারণে মিটিং ভেস্তে গেলো।
লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে অনড় আন্দোলনকারীরা। তবে এই বার তাঁরা দু’তরফের ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের দাবি জানান। তবে তাতেও সম্মতি মেলেনি সরকার পক্ষের বলেই খবর। মমতা বলেন, যদি তোমরা কথা বলতে না চাও তাহলে বলব ভিজো না। তোমরা ভিডিয়োর কথা লেখোনি। স্বচ্ছতা থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে তবেই কপি দেব। আমি কথা দিচ্ছি এই ভিডিয়ো আমরাও ব্যবহার করব না।
প্রথম থেকেই লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি নিয়ে অনড় ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটে বৈঠক ডাকার পর লাইভ স্ট্রিমিং হবে কি না সেই বিষয়ে সাংবাদিকদের স্পষ্ট কোনও উত্তর দেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল যেভাবে তাঁরা অনড় ছিলেন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বিষয়টিতে, তাহলে হয়ত সরে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে সূত্রের খবর, কালীঘাটে পৌঁছে প্রথমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি জানান তাঁরা। আর পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, যেহেতু ব্যাপারটা বিচারাধীন ও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি হাই সিকিউরিটি জোন তাই এখানে লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিওগ্রাফি সম্ভব না। সম্ভবত সেই কারণেই আবার ভেস্তে গেলো সভা।