বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে শেখ শাহজাহান। পুলিশের তরফে আজ বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে চাওয়া হয়। কিন্তু শেখ শাহজাহানের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ করে দেয় নিম্ন আদালত।
আর এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই দ্রুত তৃণমূল নেতাকে (Sheikh Shahjahan Arrested) নিয়ে বেরিয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত পাঁচ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা (Sheikh Shahjahan Arrested) দেয় ইডি। এরপর থেকেই খোঁজ মিলছিল না প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতার। দীর্ঘ ৫৬ দিন পর অবশেষে পুলিশের জালে। দীর্ঘদিন ‘পলাতক’ থেকেও চোখেমুখে কোথাও ক্লান্তির ছাপ দেখা যায়নি।
উলটে চোখেমুখে স্পষ্ট আত্মবিশ্বাস। এদিন আদালতে তোলার সময় শেখ শাহজাহান একেবারে ধবধবে সাদা জামা এবং প্যান্ট পড়েছিলেন। পায়ে ছিল সাদা স্নিকার্স। চোখেমুখে স্পষ্ট মেজাজ। কোর্ট লকআপ থেকে বেরতেই সাংবাদিকরা তাঁকে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়।
যদিও কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি শাহজাহান। উলটে একেবারে ‘রংবাজে’র মতো আঙুল নাড়তে নাড়তে আদালতের কক্ষপথে ঢুকতে দেখা যায় তাঁকে। আর সেই ছবি দেখে অনেকেই বলছেন, কতটা ক্ষমতাবান হলে পুলিশের ঘেরাটোপে থেকেও এমন মেজাজ রাখতে পারেন।
বলে রাখা প্রয়োজন, বুধবার রাতে মিনাখা থানার বামনপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় শেখ শাহজাহানকে। নিরাপত্তার কারণে ভোররাতেই আদালতের পুলিশ লুকআপে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সেখানেই ছিলেন তিনি। এরপর নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই আদালতে তোলা হয় তৃণমূল নেতাকে। আদালত এদিনের মামলাটিকে স্পেশাল হিসাবে দেখেন। আর সেই কারনে অনেক আগেই বিচারক আদালতে পৌঁছে যান।
শুধু তাই নয়, মাত্র ১০ মিনিটেই শেষ হয় সওয়াল-জবাব। শেখ শাহজাহানের আইনজীবী বলেন, ১৪ দিনের পিসির আবেদন জানানো নয়। কিন্ত্য আদালত ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে জামিনের আবেদন করা হলেও তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে ইডির উপর হামলার ঘটনায় নাম রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। তবে সরাসরি কোনও যোগ ছিল না বলে দাবি। অন্যদিকে ১৪৭, ১৪৮ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সুপ্রতিম সরকার।