এবার আরজিকর হাসপাতালের আন্দোলনের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ালেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। একজন জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেন্ড করা হলে বা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে তাঁরা ওপিডিতে কাজ করা বন্ধ করে দেবেন। তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা।

 

টানা ২ রাত খোলা আকাশের নীচে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন খাবার-জল নিয়ে এসে দিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জেলা থেকে পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের জন্য সাহায্য নিয়ে আসছেন সাধারণ মানুষ। এবার আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা।

গত ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আইনজীবী কপিল সিবল দাবি করেছিলেন যে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ না দেওয়ায় রাজ্যের মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যেই চিকিৎসা না পেয়ে রাজ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ। তা না হলে রাজ্য সরকার যদি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তাহলে আদালত কিছু করতে পারবে না বলে জানিয়েছিলেন।

আদালতের এই নির্দেশ হতাশাজনক বলে দাবি করেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা দাবি করেছিলেন যে তাঁদের সম্পর্কে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে আদালতে। ঘটনার ২ দিন পর থেকেই সব হাসপাতালে অভয়া ক্লিনিক খুলে চিকিৎসা চলছে। সেই সঙ্গে ওপিডি এবং জরুরি বিভাগেও কাজ হচ্ছে। সিনিয়র ডাক্তাররা ছুটি বাতিল করে রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছিলেন ব্যবস্থা নেওয়ার। তাতে আমোল না দিয়ে কর্মবিরতি এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ১০ সেপ্টেম্বর ৫ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। তারপর থেকে ২ রাত কেটে গিয়েছে এখনও স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কথা বলেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি নবান্ন। একাধিকবার ইমেল আদানপ্রদানেও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। বৃহস্পতিবার আন্দোলবনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। প্রায় চিকিৎসকদের সব সংগঠনই রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, একজন জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হলে ওপিডি বন্ধ করে দেবেন তাঁরা। অর্থাৎ তাঁরাও কর্মবিরতি শুরু করে দেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *