বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে শুরু হয়েছে এক নতুন অধ্যায়। প্রবল ছাত্র আন্দোলনে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে এখন ভারতের আশ্রয়ে আছেন।

শেখ হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই ওখানে হিন্দু বিরোধী ও ভারত বিরোধী একটা আন্দোলন শুরু হয়েছে – যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে ওই দেশের বিতর্কিত লেখিকা তথা মানবাধিকার কর্মী তসলিমা নাসরিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, বর্তমানে বাংলাদেশে তরুণদের মগজ ধোলাই করছে ইসলামী কট্টরপন্থীরা। তাদের ভারতবিরোধী, হিন্দুবিরোধী, পাকিস্তানপন্থী এবং জিহাদিতে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। কাজেই, খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ আরও একটা আফগানিস্তানে পরিণত হতে পারে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তসলিমা। স্বাভাবিক কারণেই এই নিয়ে ভারতের যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ আছে।

একদিকে চিন ও অন্যদিকে পাকিস্তান ভারতের ঘাড়ের উপর নিশ্বাস ফেলছে। সেই পরিস্থিতিতে যদি বাংলাদেশ আবার ভারত বিরোধী হয়ে উঠে তাহলে ভারতের সমস্যা বাড়বে। তিনি বলেছেন, জুলাইয়ে যখন শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তখন মহিলাদের অধিকার, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে সোচ্চার যারা, তারা সবাই তাদের সমর্থন করেছিল। মৌলবাদীদের তুষ্ট করে, জনগণের মুখে কুলুপ এঁটে রাখতেন শেখ হাসিনা। তাই জনগণ তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। তসলিমা আশা করেছিলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং গণতান্ত্রিকভাবে সরকার নির্বাচিত হবে। প্রাথমিকভাবে সেই ভাবনাতেই হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে তিনি সঠিক মনে করেছিলেন। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে, ততোই তাঁর ভাবনা পরিবর্তন হচ্ছে। তসলিমা বলেছেন, “পরে আমরা বুঝতে পেরেছি এটা মোটেও ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না। ইসলামি মৌলবাদীরা এর পরিকল্পনা করেছিল এবং টাকা দিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের মূর্তি, জাদুঘর ও জাতীয় ঐতিহ্যের ভাস্কর্য ধ্বংস করা শুরু হলে বিষয়টা স্পষ্ট হয়েছিল।” ক্ষোভের সঙ্গে তসলিমা বলেন, “ইউনূস বলেছেন বিক্ষোভকারীরা বিজয় উদযাপন করেছে। কিন্তু এটা কেমন উদযাপন যেখানে হিন্দুদের বাড়িঘর পোড়ানো হচ্ছে? ইউনুস জানেন জিহাদিরাই দেশ শাসন করবে এবং এতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। এই কট্টরপন্থীরা বাংলাদেশকে পরবর্তী আফগানিস্তান বা ইরানে পরিণত করার জন্য নরক বানাতে চায়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *