বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ৪ তারিখ ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামে আর জি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা একটা প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে নির্যাতিতার বাবা ও মা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন – “টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর চাই।”তাঁদের প্রশ্ন -“হাসপাতালের তরফে কী ভাবে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই বলা হল, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন? সে দিন মেয়ের মুখ দেখতে আমাদের সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

ওর মা ওঁদের হাতে-পায়ে ধরেছেন মেয়ের মুখ দেখার জন্য। কেন ময়নাতদন্ত করতে দেরি হল? আমি টালা থানায় এফআইআর করি সন্ধ্যা সাড়ে ৬’টা থেকে ৭টার মধ্যে। কিন্তু সেই এফআইআর রাত পৌনে ১২টায় নথিভুক্ত হল কেন? পুলিশ কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করল?’’ এমন অজস্র প্রশ্ন তিনি সামনে আসনেন।

তাঁদের সংশয়, পুলিশ বিশেষ কিছু চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। নির্যাতিতার বাবা বলেন,”আমরা দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ৩০০-৪০০ পুলিশ টালা থানা ঘিরে রেখেছিল। শ্মশানের টাকাও নেওয়া হল না আমার থেকে। আমার মেয়ে জানল, বাপি এই টাকাটাও দিতে পারল না! ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বার বার মিথ্যা কথা বলছেন।” তিনি বলেন, দেহ সৎকারের জন্য পুলিশ উঠেপরে লাগে? কে দেহ সৎকারের জন্য পুলিশের এতো তৎপরতা ছিল? নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, “সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দিই।” পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *