বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ইতিমধ্যে সকালে কুনাল ঘোষ একটি ভাইরাল অডিও প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বিজেপির ওই নবান্ন অভিযানে পরিকল্পনা করে গন্ডগোল বাঁধানোর চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন মনোজকুমার ভার্মা, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। তিনি বলেন, “নবান্ন সংরক্ষিত এলাকা।
এখানে সাধারণত কোনও কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যায় না। ফলে আমরা মনে করি আইনগতভাবে এই কর্মসূচি বেআইনি। যারা এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে, তারা যদি অন্য কোথাও করত তাহলে আমাদের আপত্তি নেই।” কিন্তু আন্দোলণকারীরা নিশ্চই তাতে সম্মত হবে না। আশঙ্কা এর পিছনে আছে কোনো বড়ো পরিকল্পনা।
পুলিশ প্রশাসনের কাছে খবর আছে, সাধারণ মানুষ ও মহিলাদের সামনে রেখে হামলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে একাধিক আশঙ্কার কথা শোনান পুলিশ কর্তারা। এডিজি আইনশৃঙ্খলার বক্তব্য, তাঁদের কাছে খবর আছে, একটা বড় সংখ্যক নেতা চাইছেন এখানে গন্ডগোল হোক। এমন উস্কানি তৈরি করা হবে যাতে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে। যেটার ফায়দা তুলবে মিছিলের আহ্বায়করা। এদিন সুপ্রতিম সরকার বলেব, “আমাদের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। সেই তথ্যের অন্যতম একটি হল এই যে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফে একজন গতকাল শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন। সে ব্যাপারে আমরা তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করছি। সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে আগামিকাল কিছু দুষ্কৃতী ব্যাপক গন্ডগোল, অশান্তি, হিংসা এবং বিশৃঙ্খলা ছড়াতে পারে বলেও খবর পেয়েছি। এই নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গ সুপ্রিম কোর্টেও উত্থাপিত হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আরজি করকাণ্ডের প্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে আইন বিরুদ্ধ কোনও কাজে পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, এমন নির্দেশ কিন্তু নেই। স্বাভাবিক কারণেই মনে করা হচ্ছে ২৭ তারিখ একটা বড়ো কিছু হতে চলেছে।