বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের আন্দোলন যে বিপথগামী হয়েছে তারে সন্দেহ নেই। প্রথমে আন্দোলন ছিলো ছাত্রদের নেতৃত্বে কোটা বিরোধী আন্দোলন। তার পরেই সেই আন্দোলনের রাশ চলে যায় জামাতের হাতে।
কোটা বিরোধী আন্দোলন হয়ে ওঠে প্রথমে হাসিনা বিরোধী আন্দোলন ও শেষে ভারত বিরোধী ও হিন্দু বিরোধী আন্দোলনে পরিনত হয়। তার ফলে হাসিনা দেশ ছাড়ার পরেই ঢাকা, চট্টগ্রামে সহ অন্তত ২৩টা জেলায় প্রায় ৫৫ থেকে ৬০টি হিন্দু মন্দির আক্রমন করা হয়। শেষ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ শুরু করে হিন্দুমঞ্চ। অবশেষে মঙ্গলবার বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মহম্মদ ইউনুস৷ পাশাপাশি বাংলাদেশের নতুন সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে অশান্তি চলাকালীন যারাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মন্দিরে ভাঙচুর চালিয়েছে অথবা লুঠপাট চালিয়েছে, তাদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশ শুধু মুসলিমদের নয়, হিন্দুদেরও। তিনি সরো জানান, বাংলাদেশের নতুন সরকার ধৰ্মীয় বিভাজনে বিশ্বাস করে না।
সরকারের পক্ষ থেকে ধৰ্মীয় বিষয়ক মূল উপদেষ্টা খালেদ হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের উপাসনাস্থলে যে বা যারাই হামলা চালিয়েছে তারা দুর্বৃত্ত এবং তাদের এর মূল্য চোকাতে হবে৷’ হোসেন বলেন, ‘ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রক অতীতেও দেশের সংখ্যালঘুদের পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে৷’ সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, দেশ জুড়ে কোথায় কোথায় এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে জেলা প্রশাসনকে তার তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে৷ তবে এটাও ঠিক যে হিন্দুদের অধিকার রাখার জন্, সম্পত্তি রক্ষার জন্য একদল মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবক লড়াই করেছে। রাত জেগে পাহারা দিয়েছে হিন্দু মন্দির।