বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সুকান্তের সেই কবিতার লাইনটা এখন স্মরণীয় – ‘ বিদ্রোহ চারিদিকে বিদ্রোহ আজ।’ আর জি কর হসপিটালের নির্মম ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সারা বাংলা সহ পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন।

এখন পর্যন্ত এক জনকে গ্রেফতার করলেও অনেকেই মনে করছেন, এর পিছনে আছে আরো বেশ কয়েকজন। কোনো আজ্ঞাত কারণে পুলিশ তাদের ধরতে পারছে না। স্বাভাবিক কারণেই রাগের আগুনের ফুটছে সমস্ত চিকিৎসক সহ নাগরিক মহল।

সোমবার আরজি কর থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরপরই ঘোষণা করা হয়, ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ করা হল সন্দীপ ঘোষকে। সন্দীপের এই নিয়োগ নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয় নতুন করে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রতিবাদে তপ্ত হচ্ছে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (CNMC)। সেখানেও নয়া প্রিন্সিপালকে দায়িত্ব নিতে দিতে চাইছেন না পড়ুয়ারা। এক সন্দীপ নামেই ফুঁসছে আরজি কর থেকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল।

এই পরিস্থিতিতে বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা। সকাল ১০টা নাগাদ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছন সেখানকার রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা এন্টালির তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা। তাঁকে ঘিরে ধরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। পড়ুয়ারা কিছুতেই তাঁকে কলেজে ঢুকতে দেবেন না। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধুনা প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে বদলি করা হয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। তিনি সেখানে অধ্যাপক হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছেন। আবার সোমবারই আরজি করের পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ করা হয়। এই দুই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান ন্যাশনাল মেডিক্যালের পড়ুয়ারা। এদিকে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ এবং ‘গো ব্যাক’ স্লোগানের জেরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে ফিরে যেতে হল এন্টালির তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা এবং রাজ্যের মন্ত্রী তথা কসবার বিধায়ক জাভেদ খানকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *