বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আর জি কর কাণ্ডে রাজ্যের অবস্থা এক কথায় ‘ল্যাজে গোবড়ে।’ তার প্রধান কারণ পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক সিদ্ধান্ত। চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি, হাইকোর্টে নজরে এবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
সোমবার সকালে আরজি কর থেকে পদত্যাগ করলেও, বিকেলেই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদ দেওয়া হয়। কতটা ক্ষমতাশালী লোক যে তাঁকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এভাবে ‘পুরস্কার’ দেওয়া হল? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে আদালত। শুধু তাই নয়, সন্দীপ ঘোষ যাতে ছুটিতে চলে যান, সেই নির্দেশও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। স্বাভাবিক কারণেই খুশি চিকিৎসক মহল, খুশি নাগরিক মহল।
ক্ষুব্ধ বিচারপতি আদালতে বলেন, “সকালে প্রিন্সিপাল পদত্যাগ করলেন মরালিটি দেখিয়ে। আশ্চর্যজনকভাবে রিওয়ার্ড দিয়ে বিকেলে তাঁকেই অন্য জায়গায় বসানো হল।”সন্দীপের আইনজীবীকে কড়া ভাষায় বিচারপতি বলেন,
“আপনি কি এত পাওয়ারফুল লোক? আপনি হাসপাতালের অভিভাবক। আপনার যদি নির্যাতিতার প্রতি সহানুভূতি না থাকে, তাহলে আর কার থাকবে? কোনও মানুষ আইনের উর্ধ্বে নয়।” এর পরেই তিনি এদিন সন্দীপ ঘোষের ইস্তফাপত্র ও নতুন নিয়োগপত্র দেখতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা দেখতে চাই, পদত্যাগ পত্রে কী লিখেছেন ওই প্রিন্সিপাল?”