বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ঘটনার শুরু থেকে তদন্তে অসঙ্গতির অভিযোগ। এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতার পরিবার। আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকেরা। তাই আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে পরিবার।
ঘটনার দিন নির্যাতিতার পরিবারকে জানানো হয়েছিল তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছিল। হাসপাতালে আসার পরেও তাঁদের মেয়ের দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। পরে তিনি জানতে পারেন যে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এবং ময়নাতদন্তের পরে তাঁদের হাতে মেয়ের দেহ তুলে দেওয়া হয়। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় নির্যাতিতার শেষ কৃত্য পর্যন্ত করা হয়।
তারপর থেকেই নির্যাতিতার বাবা সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেছিলেন পুলিশের তদন্ত নিয়ে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গিয়েছিলেন সেখানে। তিনি নির্যাতিতার পরিবারকে আশ্বস্ত করেন যে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে এবং রবিবারের মধ্যে যদি পুলিশ খুনের কিনারা করতে না পারে তাহলে তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
কিন্তু তাতেও স্বস্তি পাচ্ছেন না নির্যাতিতার পরিবার। তাঁরা মনে করছেন তাঁদের মেয়ের হত্যার নেপথ্যে রয়েছে আরও অনেকে। কারণ গতকাল নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছিলেন আগে নাইট ডিউটি করলেও গত কয়েকদিন ধরে তাঁর মেয়ে নাইট ডিউটি করতে চাইছিলেন না। এবং সিনিয়র চিকিৎসকরা তাঁকে চিকিৎসা করতে দিচ্ছে না বলেও নাকি জানিয়েছিলেন। তাতেই নির্যাতিতার পরিবার সন্দেহ করছে আরও বড় কোনও কারণ রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তাঁর শরীরে যেসব আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে তা প্রাথমিক ভাবে এক মদ্যপ ব্যক্তিক পক্ষে করা সম্ভব নয়। সেকারণে এই ঘটনায় সঞ্জীব রায়কে গ্রেফতারিতে খুব একটা সন্তুষ্ট নন তাঁরা। কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় থেকে তাঁরা ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছে তারা।
এদিকে জানা গিয়েছে আরজি করের মামলার কেস ডায়েরি তলব করেছেন প্রধান বিচারপতি। সেই সঙ্গে তলব করা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। গতকাল পদত্যাগ করেন তিনি। তারপরে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হয়েছে। দুপুর ১ টার মধ্যে তাঁকে হাইকোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।প্রধান বিচারপতি সন্দীপ ঘোষে রীতিমতো সতর্ক করে বলেছে কীভাবে নির্যাতিতার পরিবারকে ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হল। কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করলেন প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।