বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আরজিকর হসপিটালে প্রবল উত্তেজনা। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। হঠাৎ কর্তব্যরত এক মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার। সন্দীগ্ধ তাঁর সহ চিকিৎসকেরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় উদ্ধার হয় ওই চিকিৎসকের দেহ।
চেস্ট মেডিসিন বিভাগের পিজিটি ওই মহিলা চিকিৎসক হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন। তার মধ্যে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুতে সরব হয়েছে বিজেপি। প্রশ্ন উঠেছে হসপিটালের মধ্যে এটা কিভাবে সম্ভব? হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিন সকালে হাসপাতালের কর্মীরাই দেখতে পান ওই চিকিৎসকের দেহ। অভিযোগ, সন্দেহজনক অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে তাঁর দেহ। সহকর্মী ও চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া, দেহে পোশাক ছিল না বলেও সূত্রের খবর। অনেকে একে আত্মহত্যা বললেই, তাঁর সহ কর্মীরা তা মানতে রাজি না।
ছুটে এসেছেন তাঁর বাড়ির লোকেরা। ইতিমধ্যে প্রচুর ভিড় জমে গেছে হসপিটাল চত্তরে।
চিকিৎসকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ উপস্থিত হয়েছে ঘটনাস্থলে। অভিযোগের গুরুত্ব এতটাই বেশি যে খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করা হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না। মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রায় প্রত্যেকেই। জুনিয়র চিকিৎসকের বাবা ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন হাসপাতালে। তবে মেয়ের দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। তিনি বলেন, “সকালে আমাকে বলা হয়, মেয়ের অবস্থা ভাল নয়। সেই শুনেই এসেছি। বডি একটা ঘরে রাখা হয়েছে। আমাকে দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। বোযা যাচ্ছে রেপ করে মার্ডার করা হয়েছে।” পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে সেই সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছে না।