বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আবার কলকাতা হাঁটল এক বাম নেতার জন্য। থিক থিকে ভিড় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। দেখতে পারলেন না অনেকেই। কাকদ্বীপ থেকে উত্তরবঙ্গ দিন রাত জেগে কতো মানুষ যে ভিড় করেছিলেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। শেষবারের মতো প্রিয় নেতাকে একবার লালসেলাম জানাতে এসেছিলেন তাঁরা।
সেই আলিমুদ্দিন স্ট্রিট শেষবার লালসেলাম জানাল তাঁদের কমরেডকে। আবারও মুজফফর আহমেদ ভবন গর্জে উঠল লাল সেলাম স্লোগানে। মুজফফর আহমেদের বাইরে তখন মুখরিত হচ্ছে লাল সেলাম কমরেড। থিক থিক করছে মানুষের ভিড় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের গলি অনেকদিন পর শুনল সেই গর্জন। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে গিয়েই হোক আবার একবার রাজ্যবাসী দেখল লাল ঝান্ডার স্রোত।
কারোর সহযোদ্ধা, কেউ অনুগামী, কেউ অনুরাগী, কারোর আদর্শ। লাল সেলামের গর্জনে মিশল কান্না, হাহাকার। প্রিয় নেতাকে হারিয়ে এক প্রকার দিশেহারার মতো পরিস্থিতি দেখা গেল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে এতোটাই ধীর গতিতে এগোতে হল গাড়িটি কারণ রাস্তার দুধারে অসংখ্য কর্মী সমর্থকের ভিড়। অনেকদিন পর লাল সেলামের স্লোগানে গম গম করল মহানগরের রাস্তা।
কাতারে কাতারে মানুষ একবারের জন্য শেষ দেখা দেখার জন্য উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিলেন। এই ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। এতোটাই ভিড়ে ঠাসা ছিল রাস্তায় যে এসএফআইয়ের রাজ্য দফতরের ভেতরে আর নিয়ে যাওয়া যায়নি বুদ্ধবাবুর মরদেহ। কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছিলেন গোটা রাস্তায়। ভিড়ের চাপে অত্যন্ত ধীর গতিতে এগোচ্ছে তাঁর শববাহী শকট।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে NRS হাসপাতাল পর্যন্ত গোটা রাস্তা লাল পতাকায় ঢেকে গিয়েছিল। বুদ্ধবাবুর শেষ যাত্রায় সামিল হয়েছিলে ১৮ থেকে ৬০ সব বয়সের নেতা-কর্মীরা। ভিড়ের চাপে গোটা রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে এজেসি বোস রোড।
আগেই দেহ দান করে রেখেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই মতো আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে এসএফআই রাজ্য দফতর হয়ে তাঁর শববাহী শকট। এনআরএস হাসপাতালে লোকে লোকারণ্য হাসপাতাল চত্ত্বর। সেখানেই রাখা চিকিৎসা শাস্ত্রের জন্য দেওয়া হয়েছে তাঁর দেহ। তাঁর সতীর্থরাও অনেকেই দেহ দিয়েছেন। জ্যোতি বসুর দেহও দান করা রয়েছে। এই নিয়ে জোর জল্পনা করা হয়েছে।