বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: গত বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে। সব মিলিয়ে ৩০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। সেই আন্দোলন প্রথমে ছাত্রদের কোটা বিরোধী আন্দোলন থাকলেও শেষ হয় জামাতের ভারত বিরোধী আন্দোলন দিয়ে।
প্রথম পর্যায়ে হাসিনা সরকার ব্যর্থ হয় ছাত্র আন্দোলন সামলাতে, পুলিশ নির্বিচারে ছাত্র হত্যায় লিপ্ত হয়, আর শেষে জামাত ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে শুরু হয় হিন্দু নিধন পর্ব। তার পর থেকেই শুরু হয় বিশ্বের তৎপরটা। এই বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন মহল থেকে আসে নানা প্রতিক্রিয়া।
* ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বলা হয়েছে – আন্দোলন প্রতিরোধের জন্য ছাত্র, শিশু যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। তার মধ্যে গণতন্ত্রের প্রতিফলন ঘটে নি।
* যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা – ৫ আগস্টের পরে ব্রিটানের প্রবাসী বাংলাদেশিরা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেলে একটি বিশাল বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের বসবাস। তাদের অনেকেই রাস্তায় নেমে, পতাকা নেড়ে, গাড়ির হর্ন বাজিয়ে “বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!” স্লোগান দিয়ে উদযাপন করেছেন। ৫০ বছর বয়সী আবু সায়েম বলেন, “বাংলাদেশ এখন তার দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমরা প্রথম স্বাধীনতা পেয়েছি ১৯৭১ সালে। কিন্তু স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়ে হাজার হাজার শিশুকে হত্যা করেছে।”
* জার্মানি – প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জার্মান থেকে। জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দেশের অস্থিরতার মধ্যে এটি “গুরুত্বপূর্ণ যে বাংলাদেশ তার গণতান্ত্রিক পথ অব্যাহত রাখে”।
* ইউরোপীয় ইউনিয়ন – কোনো আজ্ঞাত কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ক্ষুব্ধ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসনে “শৃংখলাপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ” উত্তরণের আহ্বান জানিয়েছে। ইইউ পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল শান্তি এবং সংযমের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে নিশ্চিত করতে বলেছেন, এই রাজনৈটিক উত্তরণ যাতে মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক নীতিকে সম্মান করে।
* যুক্তরাষ্ট্র – যুক্তরাষ্ট্র ওই দেশে হাসিনার প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। তারা প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে,অন্তর্বর্তী সরকার গঠনকে স্বাগত। হোয়াইট হাউজ একটি গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
* জাতিসংঘ – জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রাখার এবং সহিংসতার স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
সমস্ত দেশই চেয়েছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বজায় থাকে।