বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল ছাত্রদের হাতে এতো অত্যাধুনিক অস্ত্র আসলো কোথা থেকে? কেনইবা আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে পুলিশকে লক্ষ করে প্রচুর বোমা নিক্ষেপ করা হয়? কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলকে সর্বস্তরের মানুষ সমর্থন করেছে।
কিন্তু ক্রমেই সেই আন্দোলনের রাশ ছাত্রদের হাত থেকে চলে গেলো ইসলামিক ছাত্র শিবির ও জামাতের হাতে। আর তখনই আন্দোলনের তিনটি ধাপ দেখা গেলো – হাসিনা বিরোধী, হিন্দু বিরোধী ও শেষে ভারত বিরোধী। কূটনৈতিক মহলের ধারণা বাংলাদেশজুড়ে যে ব্যাপক হিংসাত্মক কার্যকলাপ চলছে তার নেপথ্যে রয়েছে জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির (ICS)। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মতে, যে কোনও মূল্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ সরকারকে হঠাতে চেয়েছিল পাকিস্তান। ভারতকে বিপাকে ফেলতে বেজিংয়ের সঙ্গে হাত মেলায় ইসলামাবাদ। চলতি বছরের শুরুতেই ব্যাপক আর্থিক সাহায্য পেয়েছিল আইএসআই সমর্থিত জামাত-ই-ইসলামি। বেজিং বিপুল টাকা খরচ করেছিল।
চিনের সঙ্গে হাসিনা প্রথমিকভাবে সুসম্পর্ক বজায় রাখলেও চিনের বিনিয়োগেই তৈরি হয় পদ্মা সেতু। বাংলাদেশে পরিকাঠামো নির্মাণে একাধিক প্রকল্পে কাজ করছে চিনা সংস্থাগুলি। কিন্তু কূটনীতির নিয়ম মেনে প্রতিবেশী তথা বন্ধু ভারতকেই বরাবর অগ্রাধিকার দিয়েছেন মুজিবকন্যা। বেজিংয়ের চাপ থাকলেও ভারত বিরোধী শক্তিগুলিকে প্রশ্রয় দেননি তিনি। তাই ড্রাগনের রোষে পড়ে আওয়ামি সরকার। বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারতে জেহাদি প্রচার-সহ ভারত বিরোধী কার্যকলাপের জেরে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির নজরদারিতে ছিল ইসলামি ছাত্র সংগঠন। তখনই প্রকাশ্যে আসে যে প্রতিবেশী দেশে বড়সড় ষড়যন্ত্রের জাল রচিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে নেপাল, ভুটানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো না। মালদ্বীপ এই মুহূর্তে চিনা পন্থী। সব মিলিয়ে এই অঞ্চলে ভারত বিরোধী শক্তি শিবির গড়ে তোলাই চিন পাকিস্তানের মূল লক্ষ্য – এখানেই ব্যর্থ হাসিনার ইন্টালিজেন্স।