বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:বাংলাদেশ এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ অরাজক পরিস্থিতি। প্রথমে ছিল কোটা বিরোধী আন্দোলন, পরে হলো হাসিনা হাঁটাও আন্দোলন, আর শেষে এই মুহূর্তে সেই আন্দোলনের একটা অংশ এখন ভারত বিরোধী, হিন্দু বিরোধী আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে।

বাংলাদেশে কোনও আন্দোলন, ঝামেলা হলেই সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। বাংলাদেশে মোট ৬৪টি জেলা। সর্বেশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সেই দেশের ২৭ টি জেলায় হিন্দুদের বাড়ি, দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের সংবাদপত্র দ্য ডেইলি স্টার সূত্রে খবর, ২৭টি জেলায় হিন্দুদের বাড়ি, দোকানে হামলা চালানো হয়েছে। অভিযোগ, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় সোমবার সন্ধ্যায় তেলিপাড়া গ্রামে প্রদীপ চন্দ্র রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামে ৪ হিন্দু পরিবারের উপর হামলা, লুঠ চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এটাও ঠিক আবার ওই আন্দোলনকারীদের একাংশ তীব্র প্রতিবাদ করেছে এই হিন্দু বিরোধী আন্দোলনের।

বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মানুষ চিরকাল ভারত বিরোধী, হিন্দু বিরোধী। তারা ভুলে যায় ইন্দিরা গান্ধী না থাকলে হয়তো বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। কিন্তু কিছু মানুষ ইতিহাস জানে না, নেই তাদের কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পঞ্চগড়ে বহু হিন্দুর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুঠপাট করা হয়েছে। ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ জানিয়েছেন, এমন কোনও এলাকা বা জেলা বাকি নেই যেখানে হিন্দুদের উপর হামলা হয়নি। দাবি করা হচ্ছে, হিন্দুদের বাড়িঘর থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে এবং মারধর করা হচ্ছে। তাঁদের দোকানপাট লুট করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সভাপতি তথা সিনিয়র আইনজীবী অলোক কুমার বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশ এক অদ্ভুত অনিশ্চয়তা, হিংসা ও নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এই সংকটের সময়ে, ভারত বাংলাদেশের সমগ্র সমাজের বন্ধু হিসেবে দৃঢ়ভাবে পাশে রয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *