বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ নিয়ে এবার সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। কয়েকদিন আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি হিন্দু শরণার্থী আসবে।
শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে নালিশ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, যেকানে বাংলাদেশে চরম অস্থিরতা চলছে সেখানে এই এই ধরনের উস্কানি মূলক মন্তব্য করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
তারপরে আবার আরেক বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বাংলাদেশ ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে এখন যাঁরা হিংসা চালাচ্ছে তাঁরাই সিএএ পাস হওয়ার পর ভারতে ঢুকে অশান্তি চালিয়েছিল। এমনকী তিনি আরও বলেছেন যাঁরা বাংলাদেশে এখন নৈরাজ্য চালাচ্ছে তারাই ভোটের পরে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছিল।
দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পরে জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীদের উপরে যে হামলা হয়েছিল। সেটা এরাই বাংলাদেশ থেকে এসে চালিয়েছিল। এঁরাই এখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে দখল করে নিয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেতার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেছেন, তিনি মনে করছেন এঁরা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। সেকারণেই তিনি কিছু বলছেন না।
দিলীপ ঘোষ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সতর্ক করে বলেছেন,’এক দিদি গেছেন, আরেক দিদি হয়তো সেই রাস্তায় হাঁটতে চলেছেন। তৃণমূল ভবিষ্যৎ দেখে রাখুক, এই আগুন থেকে তারাও বাঁচবে না।’ অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিণতিও শেখ হাসিনার মতোই হতে চলেছে বলে নিশানা করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাংলাদেশ এখন অরাজকতার আরেক নামে পরিণত হয়েছে। গত ২ দিন ধরে লাগাতার হিংসা চলছে বাংলাদেশের একাধিক জায়গায়। নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে আওয়ামি লিগের কর্মী সমর্থকদের। তাঁদের পরিবারও রেহাই পাচ্ছে না। পুলিশের উপরেও হামলার ঘটনা ঘটছে। একাধিক জায়গায় থানায় হামলা চালানো হয়েছে। কয়েকশো পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে। মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাস্তায়। পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে। তার সঙ্গে চলছে সরকারি সম্পত্তি লুঠ।
হাসিনা দেশ ছাড়ার পরেই গণভবনে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর লুঠ করা হয়। বিছানা বালিশ, জামাকাপড় পর্যন্ত নিয়ে চম্পট দিয়েছেন দুষ্কৃতিরা। এমনকী বাংলাদেশের সংসদ ভবনেও লুঠ চালানো হয়েছে। একাধিক ব্যাঙ্ক এটিএমে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সরকারি আবাস এবং দফতরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। হত্যালীলা এখনও থামেনি বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বা়ড়ছে ভারতে। সীমান্তে নজরদারি কড়া করা হয়েছে। বিএসএফ সীমান্ত বর্তী গ্রামগুলিতে সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে। যাতে বেআইনি ভাবে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেকারণে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সব জায়গাগুলি। বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ। দুদিন সীমান্ত বন্ধ থাকার পর ফের খুলেছে পেট্রোপোল এবং হিলি সীমান্ত।