বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি। আর সেটাই ভিনেশ ফোগাটের নিশ্চিত পদক প্রাপ্তিতে জল ঢেলে দিল। মহিলাদের ফ্রিস্টাইল ৫০ কেজি বিভাগের কুস্তির ফাইনালে উঠেছিলেন।

ভারত ছিল ঐতিহাসিক সোনার অপেক্ষায়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী এই বিভাগে দেওয়া হবে শুধু সোনা আর ব্রোঞ্জ। না, রুপোও পাবেন না ভারতীয় কুস্তিগীর।

জানা যাচ্ছে, ইভেন্টের দিন সকালে ওজন নেওয়া হয় প্রতিযোগীদের। গতকাল ভিনেশের ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল না। এমনিতেই তিনি ৫৩ কেজি বিভাগে লড়ে থাকেন। তবে প্যারিসে ৫০ কেজি বিভাগে নামার সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল তিনি দাপট দেখিয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন।

যদিও ভিনেশের সেমিফাইনাল শেষ হতেই তাঁর ২ কেজি ওজন বেশি ধরা পড়ে বলে সূত্রের খবর। এরপরই ভিনেশ চলে যান আইফেল টাওয়ারের কাছে। সেখানে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ স্কিপিং করতে থাকেন। সাংবাদিকরা ভেবেছিলেন, বোধ হয় কুল ডাউনের প্রক্রিয়া চলছে।

ভিনেশের কোচকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, যা বলার ফাইনালের দিন বলবেন। তিনি ভিনেশকে নিয়েই পড়ে ছিলেন। এরপর দেখা যায় ভিনেশ সাইক্লিং করছেন। তারপর দেখা গিয়েছে, তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ দৌড়াতেও। তখনও বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি।

আজ বিকেল তিনটেয় সংসদে ভিনেশ ইস্যুতে বিবৃতি দেবেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। তখন যাবতীয় পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা যেতে পারে। সূত্রের খবর, রাতের দিকে এমনও ঠিক হয়েছিল ভিনেশের মাথার চুল ছেঁটে যদি ২০-৩০ গ্রাম কমানো যায়।

আজ ভিনেশের ইভেন্টের ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ভারতীয় সময় রাত পৌনে ১টা নাগাদ। প্যারিসের স্থানীয় সময় সকালে যখন ওজন নেওয়া হয় তখন দেখা যায় ভিনেশের ওজন ১০০ গ্রাম বেশি রয়েছে। তাতেই ভিনেশ যান ফাইনালে অংশগ্রহণ থেকে।

রিও অলিম্পিক্সে চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন। টোকিও অলিম্পিক্সও ভালো যায়নি। বহু প্রতীক্ষিত অলিম্পিক্স পদক ভিনেশ নিশ্চিত করেন এবার। ভিনেশের সাফল্যে লেগেছে রাজনীতির রংও। বিশেষ করে বিরোধী দলগুলি মনে করিয়ে দেয়, গত বছর ভিনেশের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণের কথা।

কুস্তিগীরদের ন্যায্য দাবিতে ভিনেশ রাজধানীর রাজপথে কাটিয়েছেন প্রতিবাদ-আন্দোলনে। দিল্লি পুলিশের নির্যাতনের মুখেও পড়তে হয়েছিল। তার কয়েক মাসের মধ্যেই পদকের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন ভিনেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্যের শিকার হলেন।

ভিনেশের সঙ্গে আজ যা হয়েছে তাতে রহস্য দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “ভিনেশ ফোগাট এমনিতেই বাতিল হলো, নাকি ও পদক জিতলে মোদী কোম্পানির মুখ পুড়তো। তাই সর্বোচ্চ স্তরে অন্তর্ঘাত হলো? রহস্য থাকছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *