বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের গণআন্দোলন থেকে একদল মানুষ ভারত বিরোধী শ্লোগান তোলেন। কিন্তু অনেকেই সেই শ্লোগানের বিরোধিতাও করেন। এমন ছাবি সামনে এসেছে। অশান্ত পরিবেশের ফাঁকে বাংলাদেশে বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় হামলার অভিযোগ ওঠে।

পরে রাতের বেলা সেনার তরফ থেকে কমান্ডারদের ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়। হিন্দুদের ওপর হামলা হলে সেই সব নম্বরে ফোন করতে বলা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেয় আন্দোলকারীদের একাংশ। সরকার বিরোধী আন্দোলনের আছিলায় বাংলাদেশে হামলা চলছে সংখ্যালঘুদের ওপরে। এমনই দাবি করল বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হল, সেদেশের ২৯টি জেলায় সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের অন্য একটি ছবি পাশে এসেছে। তারা সংখ্যালঘুদের রক্ষা করছেন।

বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি সোমবার বিকেলে জানান, বাংলাদেশে ৪টি জেলাতে অন্তত ৯টি মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ঐক্য পরিষদের নেতাদের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে এক শ্রেণির বিক্ষোভকারী। বহু জায়গায় হিন্দু সংখ্যালঘুদের বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। কয়েকটি ছবি ইতিমধ্যে সামনে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল ফেনি শহরের দুর্গামন্দিরে হামলা চালানো হয়। দিনাজপুরের পার্বতীপুর কালীমন্দিরসহ পাঁচটি মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়। হামলা চালানো হয় রামকৃষ্ণ মিশন ও ইস্কন মন্দিরে।

তবে এটাই শেষ কথা নয়। এর মধ্যেই দেখা গেলো সম্প্রীতির ছবি। এদিকে এই সব হামলার মাঝেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে সম্প্রীতির চিত্র। বহু জায়গায় আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা সারা রাত জেগে মন্দির রক্ষা করেছেন। এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফ থেকেও হিংসা থামানোর আর্জি জানানো হয়েছে। গতকাল শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণা করে বাংলাদেশ সেনাপ্রধানও শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়েছিলেন। তবে হিংসা এখনও জারি রয়েছে বাংলাদেশে। এহেন পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের আশ্বস্ত করতে জেলায়-জেলায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে বাংলাদেশ সেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *