বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত তাই হলো। ভাঙলো বাংলাদেশের ১৫ বছরের শেখ হাসিনার শাসন পর্ব। শেখ হাসিনা ভারতের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে ভারত সম্মত হয়। তিনি প্রথমে তার পরিবার ও বোনকে নিয়ে আগরতলা আসেন। বাংলাদেশ সেনার প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। যাঁদের যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের বিচার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। সেইসঙ্গে সেনার উপরে আস্থা রাখার আর্জি জানিয়েছেন। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘দেখুন, পরিস্থিতি খুব খারাপ। কী যে হচ্ছে, আমি নিজে জানি না।’বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যে নাকি ইস্তফা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই ব্যারিকেড ভেঙে গণভবনে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী, দুপুর তিনটে নাগাদ সেই ঘটনা ঘটেছে। হাসিনার পদত্যাগে উন্মত্ত হয়ে ওঠে আন্দোলনকারীরা।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে হাজার-হাজার বিক্ষোভকারী ঢুকে পড়েছেন। পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। যে কোনও সময় কি বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন হবে? সোমবার দুপুর দুটো ৩০ মিনিট নাগাদ হাসিনাকে নিয়ে উড়েছে একটি সেনা হেলিকপ্টার। সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গে আসছে হাসিনার হেলিকপ্টার। সূত্রের খবর, তিনি ইতিমধ্যে আগরতলায় এসেছেন। তিনি ও তাঁর বোন আগরতলা থেকে দিল্লি হয়ে লন্ডনে যাচ্ছেন। আর হাসিনার পরিবার এই মুহূর্তে কলকাতা আসছেন। কলকাতায় তাদের আশ্রয় স্থল সম্পূর্ণ ঘিরে ফেলেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী।