বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:জেসিবিকে ভয়ে পুলিশ গারদে পুড়লেও পুলিশ জানে জেসিবির বাহিনী যখন বাইরে, তখন সন্ত্রাস বাড়বে। বিশেষ করে ওই শাসক ঘনিষ্ট দূরবৃত্তের ভয়ে পুলিশ পর্যন্ত কম্পিত। এখন তাই হচ্ছে।

 

জেসিবি-র ভাই গির আলম ও তাঁর শাকরেদরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ। কে বা কারা ভিডিয়ো করেছেন, এমন সন্দেহ করে অনেকের বাড়ি ঘরে ইতিমধ্যে ভাঙচুরও চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেককে এরপরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভয়ে কুঁকড়ে রয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। এই ভয়ঙ্কর অত্যাচারে আক্রান্ত যুবকের মা এক ধরনের ট্রমাতে চলে গেছেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, যে তার ছেলেকে মেরেছে, তিনি কি তার শাস্তি চান? তখন ভয়ে তিনি বলেন, “না তাঁকে আমি চিনি না। না না আমি ওকে চিনিই না। যে ভাইরাল করেছে, তাকেই আমি চাই।”

এ অনেকটা চম্বলের মতো আরাজক অবস্থা। প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরেই উন্মোচিত হয়, চোপড়ার এই জেসিবি-র কুকীর্তির কথা। একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, জেসিবি এক লাঠি নিয়ে এক যুগলকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেছেন। তালিবানি কায়দায় মারধরের সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা বাংলা। আঁচ পড়ে জাতীয় স্তরেও। রাতে গ্রেফতার হন জেসিবি। মূল অভিযুক্ত জেসিবি গ্রেফতার হতেই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক অভিযোগ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে এক সিপিএম নেতাকে গুলি করে খুনেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। চোপড়ার স্থানীয় বাসিন্দা এক বৃদ্ধ বলেন, “ওরা অত্যন্ত খারাপ। সারাক্ষণ মারামারি, খুনোখুনি করে। লোকের থেকে টাকা ছিনিয়ে খায়। খুব খারাপ লোক ওরা। কেউ ভয়ে ওর বিরুদ্ধে মুখ খুলবে না।” একটা বিষয় এখন ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে যে, শাজাহান আর জেসিবিতেই ভরে যাচ্ছে রাজ্যটা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *