বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:একদিকে তিনি মুখ্যমন্ত্রী, আর অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো। ভোট বাক্সই তাঁর প্রধান টার্গেট।
তাই যতটা
স্বতস্ফূর্তভাবে তিনি যোগী আদিত্যনাথের মতো বুলডোজার কারবার শুরু করেছিলেন, হঠাৎ তিনি তার থেকে থমকে দাঁড়ালেন, ঘোষণা করলেন, একমাস বন্ধ থাকবে সমস্ত অভিযান। নাগরিক মহল হেসে বলছেন, ভোট যে বড়ো বালাই! কলকাতা-সহ বিভিন্ন শহর এবং মফস্সল শহরের ফুটপাথ ‘দখলমুক্ত’ করতে গত সোমবারেই কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। সেই মতোই রাজ্য জুড়ে অভিযান শুরু করেছিল প্রশাসন। কিন্তু তার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার মমতা বলেছেন, আগামী এক মাস উচ্ছেদ বন্ধ থাকবে। কেন তিনি দু’পা এগিয়ে এক পা পিছিয়ে আসলেন? বিরোধীরা বলছেন, দখল করে যারা আছেন, তাদের ৮০ শতাংশ তো ওঁর দলের লোক। ওদের ভোট নিতান্ত কম না!
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, গ্রাম ছিল বলেই তৃণমূল আছে। শহরে তৃণমূলের ভোটের বেশ বড়ো ধস নেমেছে। সেই রাগেই হয়তো তিনি হঠাৎ হকার উচ্ছেদে তৎপর হয়েছিলেন। কিন্তু পড়ে বুঝেছেন, সামনেই ২০২৬! এখানেই উল্লেখ্য দক্ষিণ কোলকাতার এক তৃণমূল নেতার বক্তব্য -“বহু জায়গায় দলের কাউন্সিলর এবং প্রশাসনের একাংশের বোঝাপড়ায় যে তোলাবাজি চলছে, তা বাস্তব। কিন্তু এটাও সত্যি যে, দীর্ঘ দিন ধরে ফুটপাথে দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ-করা মানুষের উপরেও আঘাত এসে পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে পুলিশ কোথাও কোথাও রোবটের মতো কাজ করছে। তা-ও মুখ্যমন্ত্রীর কানে গিয়েছে।’’ সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, এই হকারদের দরকার। তাই প্রথমে ধীরে চলো, আর পড়ে মানুষ সব ভুলে যাবে, আর তখন হকাররা গাইবে – ‘এমনি করেই যায় যদি দিন যাক না।’,
