বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক,: উচ্ছেদের নামে পুলিশি জুলুমের অভিযোগ উঠেছে। গত দু’দিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বহু ঘটনা সামনে এসেছে। ফের প্রশাসন, মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হকাররাও সেখানে ছিলেন। নির্দিষ্ট দোকান করে দেওয়ার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
হকারদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে দেওয়া হোক। হকার জোন তৈরি করে দেওয়া হোক৷ শুধু তাই নয়, হকারদের জন্য এবার চিন্তাভাবনা শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারোর কাজ কেড়ে নেওয়ার অধিকার নেই। জানালেন তিনি।
” হকার উচ্ছেদ আমাদের লক্ষ্য নয়। রাস্তায় গোডাউন করা হচ্ছে।” বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে সব বিষয়টি পরিকল্পনা করা উচিত৷ প্রত্যেক জেলায় হকার জোন তৈরি করা উচিত। সেক্ষেত্রে দোকান করে দেওয়ার কথাও ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের নির্দিষ্ট রঙ রয়েছে। সেই রং স্টলে করে দেওয়া যায়৷ অর্থাৎ, এবার কি হকার স্টলের রংও নীল – সাদা হবে?
বহু বিপজ্জনক বাজার রয়েছে। বড়বাজার এলাকায় বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। যে কোনও দিন বড় বিপদ হতে পারে। আশঙ্কাপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদুবাবুর বাজার নিয়েও আশঙ্কা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিপজ্জনক বাড়ি কেনার কাজ শুর করবে সরকার। সেজন্য তহবিল তৈরি করা হবে৷
হকারদের ব্যবসা নষ্ট করার দরকার নেই৷ তবে একজন হকার চারটে ডালা নিয়ে বসবেন। সেটাও হবে না। ফুটপাত হাঁটার জন্য। ফুটপাত বন্ধ করা যাবে না। একজন হকার একটা ডালাই রাখতে পারবে। “কাউকে বেকার করে দেওয়ার অধিকার আমার নেই।” দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা, হাওড়া, সল্টলেক তাদের চরিত্র বদলে ফেলছে। প্রত্যেকটা শহরের একটা নিজস্ব পরিচয় আছে। সেই পরিচয় ফিরিয়ে আনতে হবে৷ হকার ইউনিয়নগুলিকেও এই সব বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত৷ বহিরাহগতদের জায়গা দেওয়া যাবে না। নবান্ন সভাঘরে বৈঠক করে বললেন মুখ্যমন্ত্রী।