বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কেবল কি চালকের গাফিলতি না আরও অনেক কারণ রয়েছে এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এদিকে দুর্ঘটনা গ্রস্ত ট্রেনের এক যাত্রী এনজেপি স্টেশনের জিআরপির কাছে দুর্ঘটনার জন্য জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।


কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। আজকে ঘটনাস্থলে যেতে পারে রেলের তদন্তকারীরা। তাঁরা সেখানে গিয়ে দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখতে পারেন। যদিও মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে রাঙাপানি ও নিজবাড়িতে।

রেলের পক্ষ থেকে প্রথমেই মালগাড়ির চালকের উপর দায় চাপানো হয়েছে এই দুর্ঘটনার। কিন্তু পরে জানা যায় গতকাল ভোর সাড়ে ৫টা থেকেই নাকি অকেজো ছলি রাঙামাটি এবং আলুয়াবাড়ি স্টেশনের মাঝে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং সিস্টেম। দুর্ঘটনার পরেই রেলের তরফে দাবি করা হয় সিগন্যাল মানেননি মালগাড়ির চালক। কিন্তু পরে জানা যায় ম্যানুয়াল স্লিপের মাধ্যমে কাজ চালানো হচ্ছিল কারণ স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং খারাপ ছিল।

কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে ম্যানুয়াল স্লিপ ব্যবহার করা হলে ট্রেনের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার রাখা হয়। এদিকে দুর্ঘটনার সময়ে মালগাড়ির গতিবেগ ছিল ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। আবার শোনা যাচ্ছে মালগাড়ির চালক কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে দেখতে পাওয়ার পর এমার্জেন্সি প্রেক চেপেছিলেন কিন্তু ততক্ষণে মালগাড়ির ইঞ্জিন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের তিনটি বগি ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছে।

আরও একটি প্রশ্ন উঠছে রেলওয়ে ট্র্যাকিং সিস্টেম কি কাজ করছিল না। কারণ একই লাইনে দুটি ট্রেন রয়েছে সেটা রেলওয়ে ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে জানা যায়। তাহলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দুটি ট্রেন চলে। তাহলে মালগাড়ির চালককি দেখতে পাননি সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মালগাড়ির গতি নিয়ে রেল লাইনে পাশের কেবনে থাকা রেলের কর্মীরা কেন সকর্ত করল না মালগাড়ির চালককে। তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। অর্থাৎ একাধিক গাফিলতির অভিযোগ জোরাল হচ্ছে এই ট্রেন দুর্ঘটনায়।

একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে পেপার স্লিপ পাওয়ার পরেও কেন দ্রুত গতিতে ট্রেন চালাচ্ছিলেন মালগাড়ির চালক। ম্যানুয়াল স্লিপ পেলে গাড়ির গতি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার হতে হয়। তাহলে কি চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। রেলের সুরক্ষা কবচ কেন ছিল না তা নিয়েও উঠছে। সেই সঙ্গে মান্ধাতার আমলের ট্রেনের বগি ব্যবহার করা হচ্ছে এখনও পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *