বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কিন্তু বার বার রাজনৈতিক শিবির বদল করেছেন। তিনি দীর্ঘ দিন এক জায়গায় থাকা পছন্দ করেন না।

রাজ্য রাজনীতিতে তিনি এক বিতর্কিত চরিত্র। ২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে কোতুলপুর বিধানসভা থেকে জয়লাভ করে বিধায়ক হন। দু’বছর যেতে না যেতেই ২০১৩ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। বিধায়ক হিসাবে মেয়াদ শেষের আগেই ২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিষ্ণুপুরের সাংসদ হন তিনি। সেবারও মেয়াদ শেষের আগেই দলবদল করেন তিনি। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে দলবদল করে বিজেপির প্রার্থী হন তিনি। ২০১৯ এ বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য বিষ্ণুপুরের সাংসদ হন সৌমিত্র খাঁ। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনেও নিজের প্রাক্তন স্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডলের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে তৃতীয় বারের জন্য বিষ্ণুপুরের সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। ফলে এই দল বদল তাঁর কাছে অনেকটাই জামা বদলের মতো।

কিন্তু এবার তিনি প্রকাশ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবেন তেমন আশা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তা না হওয়ায় খুবই ক্ষুব্ধ হন তিনি। নিজের ক্ষোভ তিনি গোপন রাখেন নি। এবার ভোটের ফল প্রকাশের পরেই সৌমিত্র একটু টাল খাচ্ছে বলেই অনেকে মনে করেন। তাই ফল প্রকাশের পরেই তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আর তার সঙ্গে একের পর এক সৌমিত্র খাঁর বিস্ফোরক সেই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে সৌমিত্র খাঁর ফের শিবির বদলের জল্পনা শুরু হয়। সেই জল্পনাকেই সোমবার অক্সিজেন জোগায় তৃণমূল নেতাকে প্রকাশ্যে সৌমিত্র খাঁর প্রণামের ঘটনা। জানা গেছে সোমবার রতনপুরে সাংসদ উন্নয়ন তহবিল সংক্রান্ত কাজে যান সৌমিত্র খাঁ। ফেরার সময় রাস্তায় তৃনমূলের প্রাক্তন রাজ্য নেতা বর্তমানে এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত ভবতারণ চক্রবর্তীকে দেখতেই প্রকাশ্যে তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন সৌমিত্র। করেন কুশল বিনিময়ও। আর এতেই সৌমিত্রর দল বদল নিয়ে তৈরী হওয়া জল্পনা। যদিও সৌমিত্র খাঁ নিজে এই ঘটনাকে নিছকই সৌজন্যতা বলে দাবী করেছেন। এখন দেখার সৌমিত্র খাঁ কি আবার জামা বদলের চেষ্টা করছেন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *