বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:এনসিইআরটি দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক থেকে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কথা বাদ দিয়েছে। তার বলছে এনসিইআরটি ইতিবাচক নাগরিক তৈরি করতে চায়।
পাঠ্যপুস্তকগুলিতে পরিবর্তন বার্ষিক সংশোধনের অংশ বলে জানিয়েছেন এনসিইআরটির প্রধান। যদিও এনসিইআরটির পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস মহারাজ।
তিনি বলেছেন এনসিইআরটির উপস্থাপনায় বেশ কিছু অপূর্ণতা রয়েছে। বাবরি মসজিদ ইস্যু নিয়ে এনসিইআরটির পাঠ্যপুস্তকে বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস মহারাজ।
কীভাবে ১৯৯২ সালের ছয় ডিসেম্বর তিনটি গম্বুজ সরানো হয়েছিল, তার উল্লেখ না করে অযোধ্যা রায় সময় থেকে অর্থাৎ ২০১৯-এর ৯ নভেম্বর থেকে বিষয়টি বর্ণনা করতে শুরু করেছে। তিনি বলেছেন, অযোধ্যা নিয়ে বর্ণনা ২০১৯-এর ৯ নভেম্বর কিংবা ১৯৯২ -এর ৬ ডিসেম্বরের কথা বললেই হয় না। রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বলেছেন, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলি যদি পাঠ্যপুস্তকে উল্লেখ করা না হয়, তাহলে শিশুরা অযোধ্যা আন্দোলনের ন্যূনতম ধারণা পেতে পারে না।
শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস মহারাজ বলছেন, তারা যদি না উল্লেখ করে কী ভাবে রাম লালা ১৯৪৯ সালের ২২ ডিসেম্বর আর্বিভূত হয়েছিল এবং তাঁর পুজো শুরু হয়েছিল, তাহলে অযোধ্যা আন্দোলনের পুরো ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে না। ফলে এনসিইআরটির বইগুলিতে যা প্রকাশ করা হচ্ছে, সেখানে তথ্য অসম্পূর্ণই থেকে যাচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, এনসিইআরটির হাইলাইট করা উচিত ছিল, ৫০০ বছর দীর্ঘ সংগ্রামের পরে এব্যাপারে সফযল হওয়া গিয়েছে। যদি তারা এইসব কিছু না বলে, এবং ২০১৯-এর নয় নভেম্বর থেকে শুরু করে আদালতের রায় থেকে, সেই কাজ অসম্পূর্ণ বলেই মনে করেন তিনি। শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস মহারাজ বলেছেন, যাঁরা ইতিহাস জানতে আগ্রহী, তাঁদের কাছে অর্ধেক তথ্য থাকবে।