বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মহিলা প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় সংস্করণ শুরু হয়েছে মাত্র দুই দিন। কিন্তু প্রথম দিনেই চমকের কমতি নেই। প্রথম দিনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রথম ম্যাচেই শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাত জিতিয়ে নজর কাড়লেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সজীবন সাজনা।আর দ্বিতীয় দিনে বেঙ্গালুরুতে ইউপি ওয়ারিয়রজের বিরুদ্ধে ম্যাচে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ ঘোরালেন আরসিবির শোভনা আশা।
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কেরলের শোভনা আশার স্বপ্নের বোলিং। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচ করে পাঁচটি উইকেট দখল করেন। ১৭তম ওভারে গিয়ে আশা তিন উইকেট তুলে নেন। মাত্র ২ রানের বিনিময়ে। এই ওভারে আশার শিকার হন শ্বেতা, গ্রেস ও কিরণ নবগীরে। পাঁচ উইকেট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মহিলা প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাস গড়েন আশা।
এতদিন মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগে সেরা বোলিং ঠিল পার্ক সার্কাসের মেয়ে সাইকা ইশাকের। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে গুজরাত জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন বঙ্গ কন্যা। এটাই ছিল মহিলাঠদের প্রিমিয়ার লিগে সেরা বোলিং। তবে শনিবার রাতে আশা কিন্তু ঈশাকের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন নজির সৃষ্টি করলেন। আশা হলেন এখন মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবথেকে সফল বোলার।
কিন্তু কে এই শোভনা আশা। কীভাবে মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চে আর্বিভূত হলেন তিনি। ১৯৯১ সালের ১৬ মার্ত কেরলের ত্রিবান্দমে জন্মগ্রহণ করেন আশা। তাঁর বাবা একজন গাড়ি চালক। ফলে আর্থিক প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করেই আশাকে ক্রিকেটার হতে হয়েছে। কারণ তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। গাড়ি চালক বাবার বেশি রোজগার ছিল না। ফলে সেই পরিবারের মেয়ের ক্রিকেটার হওয়া তো ছিল দিবা স্বপ্ন।
আশার ক্রিকেটে আসার নেপথ্যে কাজ করেছেন সচিন তেন্ডুলকরও। কিন্তু কীভাবে? অনেক মেয়ের মতোই ছোট থেকেই টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখতে ভালোবাসতেন আশা। ১৯৯৮ সালে শারজাতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সচিনের খেলা দেখার পরই ক্রিকেট খেলার ইচ্ছা জাগে আশার মনে। আর্থিক প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করেই শুরু হয় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন।
আরসিবিতে সুযোগ পাওয়ার আগে কেরল, পুডুচেরি, দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলেছেন আশা। গত বছর মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগে আরসিবির হয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে পাঁচটি উইকেট নিয়েছিলেন। এবার কিন্ত প্রথম ম্যাচেই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন।