বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বিতর্ক বহুদিন ধরেই। শতাব্দী প্রাচীন পানিহাটি পৌরসভার পরিষেবা একদম তলানিতে। ক্ষোভ বাড়ছে নাগরিক মহলে।

কেন এই হাল, তা খতিয়ে দেখতে এ বার সমস্ত পুরপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের বৈঠকে ডাকলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অন্য দিকে, পুরপ্রধান মলয় রায়ের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরব খোদ শাসকদলের পুরপ্রতিনিধিরাই। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষও বিভিন্ন সময়ে দাবি করেছেন, পুরপ্রধান অসুস্থ। উল্লেখ্য, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পরিপ্রেক্ষিতে এ বারের লোকসভা ভোটে পানিহাটি পুর এলাকায় শাসকদলের ভোট কমেছে প্রায় ১৫ হাজার। যার নেপথ্যে বেহাল নাগরিক পরিষেবাকেই মূল কারণ বলে মনে করছেন তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধিদের একাংশ। বিড়ম্বনায় পৌর প্রধান।

পানিহাটির যত্র-তত্র আবর্জনা, পানীয় জলের সাপ্লাই কম বলেই অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল, পুরপ্রধান বদল নিয়ে চলছে চাপা গুঞ্জন। কিন্তু সেই চেয়ারের দখল কে নেবেন, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। যদিও পুরপ্রতিনিধিদের অনেকেই বলছেন, ‘‘এটা পুরপ্রধান বদলের বৈঠক নয়। আর, যদি তা শেষ পর্যন্ত হয়ও, সে বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নেবেন।’’ তবে, মাসকয়েক আগে পানিহাটির পুরপ্রধানের বদল চেয়ে শাসকদলের যে ৩২ জন পুরপ্রতিনিধি দলের শীর্ষ স্তরে চিঠি দিয়েছিলেন, তাঁদের একটি বড় অংশ পরিবারতন্ত্রের পক্ষে নন। বিগত ছ’মাস ধরে পানিহাটি পুরসভায় বোর্ড মিটিং বন্ধ। তার ফলে কার্যত থমকে রয়েছে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ। অনিয়মিত পানীয় জল সরবরাহ, নিকাশির সংস্কারের অভাবে জল জমা, বাসিন্দাদের আন্দোলনের জেরে ভাগাড়ে আবর্জনা ফেলা বন্ধ থেকে শুরু করে ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট, এলাকার বাতিস্তম্ভে আলো না থাকার মতো একাধিক সমস্যায় জর্জরিত পানিহাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *