বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। সপ্তম দফায় ভোট রয়েছে বাংলার ৯টি লোকসভা কেন্দ্রে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস আসন পেয়েছিল ২২টি। এবার সেই সংখ্যা ইতিমধ্যেই পেরিয়ে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বলে দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
গতকাল ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার কামারপোল মোড় থেকে সরিষা ২৪৬ মোড় অবধি রোড শো করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আমার কাছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি-সহ অনেকেই জানতে চেয়েছেন তৃণমূলের সম্ভাব্য জয়ের আসন সংখ্যা। আমি আগে বলেছিলাম, পৃথিবী রসাতলে গেলেও ঊনিশের তুলনায় ১টি হলেও বেশি পাব।
অভিষেক এরপরই বলেন, এতদিন কিছু বলিনি, আজ বলছি। যে ৩৩টি আসনে ভোট হয়েছে তাতেই ২৩-এর বেশি আসনে জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে তৃণমূল। ৪ জুন মিলিয়ে নেবেন। ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির দফারফা করার হুঙ্কারও দিয়েছেন অভিষেক।
অভিষেক তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে কাজের খতিয়ান পেশ করতেও প্রস্তুত। বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ভোট ঘোষণার ১ মাস পর এখানে প্রার্থী দিয়েছে। এতে আমাদের কী দোষ? বলছে, প্রচার করতে পারছে না। কেউ আমরা তাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছি না। যাদের একটা প্রার্থী খুঁজতে ১ মাস লাগে, তারা ২০০০ বুথে এজেন্ট খুঁজে পাবে কীভাবে? রিলিভারের কথা বাদই দিন।
অভিষেক বলেন, বুথে এজেন্ট হতে ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। আমি বলছি, টাকা নিয়ে নেবেন। ওটা আপনাদেরই টাকা। ভোট মিটলে এলাকায় বিজেপির দেখা পাওয়া যায় না বলেও মন্তব্য অভিষেকের। তিনি বলেন, ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার হাওয়া তুলেছিল বিজেপি। এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দোষ দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীও বুঝে গিয়েছে, ৪ জুন ইন্ডিয়া জোটের সরকারে আসা নিশ্চিত।
এরপরই আরেক চাঞ্চল্যকর দাবি করেন অভিষেক। বলেন, গতকাল রাতে এক আয়কর দফতরের অফিসার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেন, পরে ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা হলো। ৩১ মে ও ১ জুন তাঁকে ৫টি জায়গায় হানা দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, হানা দেওয়ার আগে কোথায় হবে জানিয়ে দেবেন। আমি বলেছি, তার দরকার নেই। এই তো বিজেপির অবস্থা।
অভিষেকের কথায়, বিজেপি অব দ্য এজেন্সি, বাই দ্য এজেন্সি, ফর দ্য এজেন্সি আর আমরা অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল। অভিষেক বলেন, ২০১৯ সালে বিজেপি অমিত শাহের নেতৃত্বে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি ভাঙল, তিনিই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাড়ে তিন বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে।
অভিষেক মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি আপনি কাল কাকদ্বীপে সভা করবেন। আপনি বলছেন, আবাসের টাকা নাকি দিয়েছেন, তৃণমূলের পঞ্চায়েতগুলি টাকা লুঠ করেছে। কাকদ্বীপের সভা থেকে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। যদিও জানি সেটা পারবেন না। আপনি দেখাতে পারলে তৃণমূলের হয়ে ভোট চাইব না।