বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:হরিয়ানাতে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা। তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসে ভয়াবহ আগুন। নুহের কাছে কুন্ডলি-মানেসার-পালওয়াল জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এই ঘটনায় পুড়ে মৃত্যু হল ৮ পূণ্যার্থীর। এমনকি আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।

সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি মথুরা-বৃন্দাবন থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে ফিরছিল। বাসটিতে মূলত পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর, লুধিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ের যাত্রীরা ছিলেন।শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেই সময় বাসে ছিলেন ৬০ জন। তাঁদের বেশিরভাগই তীর্থযাত্রী।

জানা গিয়েছে, মাঝ রাতে হঠাৎই বাসের পিছন দিকে আগুন ধরে যায়। সেই সময় যাত্রীরা সকলেই ঘুমোচ্ছিলেন। পিছন থেকে আসা এক বাইক আরোহী ওভারটেক করে বাসচালককে সতর্ক করেন। বাস দাঁড় করাতেই ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথমে তারা জল দিয়ে আগুন নেভানোর জাক শুরু করেন। আগুনের গ্রাস থেকে বাসের সামনের দিকে বসা যাত্রীদের উদ্ধার করা গেলেও, পিছনের দিকে বসা যাত্রীদের রক্ষা করা যায়নি।
গভীর রাতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায় গোটা বাসটিতে। চালক কোনওমতে বাসটি থামান। গভীর রাত থাকায় সেই সময় বেশিরভাগ যাত্রীই তখন ঘুমোচ্ছিলেন। আগুন লাগার ঘটনায় গোটা বাসের মধ্যে হুলস্থুল পড়ে যায়।যাত্রীরা সকলে আর্তনাদ করতে থাকেন। চিৎকার শুনে এগিয়ে আসেন স্থানীয় মানুষজন। তাঁরা প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজ শুরু করেন।

আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কী কারণে চলন্ত বাসে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে, বাসটি আগুনে প্রায় ভস্মীভূত হয়ে যায়।

এই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “বাসটিকে ওইভাবে জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পুলিশে খবর দেওয়া হলে দমকলের ৪টি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। আগুন নিভলে দেখা যায় বাসটির আর কোনও কিছু অবশিষ্ট নেই।”

একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি বৈদ্যুতিন চ্যানেলে বাসে থাকা এক যাত্রী বলেন, ”আমি বাসের নীচ থেকে একটি শব্দ শুনতে পেলাম। আমি ভেবেছিলাম বাসটি বাম্পারে ধাক্কা খাওয়ার কারণে ও রকম আওয়াজ হচ্ছে। পরে পোড়া গন্ধ পেয়ে বুঝতে পারি আগুন লেগেছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়া এক বাইক চালক প্রথমে আমাদের বাস চালককে সতর্ক করেন।। আমি একদম সামনের সিটে বসেছিলাম। তাই প্রাণ বাঁচাতে লাফ দিয়ে দিয়েছিলাম।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *