বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:পঞ্চমদফার প্রচার সভা থেকে ফের সন্দেশখালি ইস্যুতে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সন্দেশখালি ইস্যুতে সরব হয়েছেন আবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন সন্দেশখালিতে যাঁরা আন্দোলন করছেন তারা সব আগে সিপিএম ছিলেন এখন বিজেপির মস্তান হয়েছেন।
বিজেপির কয়েকজন নেতা চক্রান্ত করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন সন্দেশখালির ঘটনা সবটাই সাজানো। ধীরে ধীরে সেটা প্রকাশ্য আসবে। মিথ্যে ঠিকই প্রকাশ্যে আসবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সন্দেশখালির বিজেপি কর্মী মাম্পি দাস আজ বসিরহাট থানায় আত্মসমর্ণ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণে মিথ্যে অভিযোগ লিখিয়ে নিয়ে পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
সন্দেশখালির দুই মহিলা দাবি করেছিলেন মাম্পি দাস তাঁদের সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সই দিয়েই মিথ্যে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। তাঁরা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চান। এমন কী মাম্পি দাস তাঁদের ভয় দেখাচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। এই নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।
তৃণমূল কংগ্রেসই প্রথম সন্দেশখালির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল যাতে বিজেপির ব্লক সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে যে ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো। বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র ২০০০ টাকা নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই সন্দেশখালি নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর তৈরি হয়। যদিও গঙ্গাধর কয়াল এই নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। এমনকী হাইকোর্টে পর্যন্ত মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয যে পুরো ঘটনাটাই সাজানো এবং পরিকল্পিত। যদিও শাসক দল তা মানতে নারাজ। তারপর থেকে সন্দেশখালির একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এমনকী যাঁদের রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁরা কেউ অত্যাচারিত হননি এমন দাবিও সামনে আসে। আবার সন্দেশখালির অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে এক বিজেপি নেতার অভিযোগ ভাইরাল হয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন যে সন্দেশখালিতে সিবিআই অস্ত্র রেখে এসেছিল।