বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতেও সন্দেশখালির মহিলারা রাত জাগলেন। লাঠি-ঝাঁটা হাতে তাঁরা রাতভর বসে থাকলেন রাস্তার উপরে। কিছুতেই পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের তাঁরা গ্রামে ঢুকতে েদবেন না। পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাঁদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ মহিলাদের।
সন্দেশখালির একের পর এক ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে পরিকল্পনা করে এই সব ভুয়ো ভিিডও তৈরি করেছে শাসক দল। ভুয়ো ভিডিওতে বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো। ২০০০ টাকার বিনিময়ে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
এরপর সন্দেশখালির একাধিক মহিলা নাকি বলেছেন তাঁদের সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে গিয়ে মিথ্যে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। বিজেপি কর্মী মাম্পি দাস তাঁদের ভয় দেখাচ্ছে সত্যি কথা বলায় এমনইও অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বসিরহাট থানায় আত্মসমর্পণ করেন বিজেপি কর্মী মাম্পি দাস। হাইকোর্টে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জামিন মেলেনি। এখন জেলেই রয়েছেন তিনি।
গত পরশু বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালিতে। সেদিন রাত থেকেই পুলিশের প্রবেশ বাধা দিতে থাকে সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁরা লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে রাত জাগেন। কিছুতেই পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের গ্রামে তাঁরা ঢুকতে দেবেন না বলে হুঙ্কার দিয়েছেন গ্রামের মহিলারা। গতকাল রােতও একই ভাবে গ্রামের রাস্তায় পাহারা দিয়েছেন মহিলারা।
তাঁদের অভিযোগ পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা রাতের অন্ধকারে গ্রামের ভেতরে ঢুকে ভয় দেখাচ্ছে। তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। তাঁদের বাড়ির ছেলেদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে এভিযোগ করেছেন তাঁরা। তাই গ্রামে পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের তাঁরা ঢুকতে দেবেন না বলে হুঙ্কার দিয়েছেন। সেকারণে রাতভর লাঠি-ঝাঁটা হাতে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।