বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ঘটনাটি শনিবার রাতে ঘটলেও রবিবার থেকে উত্তেজনা চরমে ওঠে। অভিযোগ শনিবার রাতে কিছু মদ্যপ যুবক ওই এলাকার মহিলাদের হুমকি দিয়ে বলে, কংগ্রেস করলে তাদের আবাসনে থাকতে দেওয়া হবে না।
মহিলারা তার প্রতিবাদ করলে তার মধ্যে একজনের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে সেখানে যান কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস নেতা। অধীরের অভিযোগ, কংগ্রেস করার জন্যই মহিলাদের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা হয়েছে। এই ঘটনার দায় তৃণমূলের ঘাড়েই চাপিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী। সারাদিন ছিল টান টান উত্তেজনা।
এই ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে গভীর রাতে ছুটে যান অধীর চৌধুরী। এদিকে, পুলিশও পৌঁছয়। পুলিশের এক অফিসার নির্যাতিতা মহিলার বয়ান নিলেও তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী একজন নির্যাতিতার ক্ষেত্রে মহিলা পুলিশ থাকা উচিত। কিন্তু, ওই পুলিশ অফিসার নির্যাতিতা একা ঘরে ঢুকিয়ে বয়ান নিয়েছেন। অধীর
জানান, কংগ্রেস বহরমপুর পুরসভায় থাকাকালীন কেন্দ্রীয় আবাস যোজনায় এলাকার দরিদ্র মানুষদের জন্য আবাসন তৈরি করে দিয়েছিল। ১০-১২ হাজার টাকা বিনিময়ে সেই সমস্ত ঘরবাড়ি দরিদ্র মানুষদের দেওয়া হয়েছিল। অধীরের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস হল জমি হাঙর। সেই আবাসনের উপরে এখন তাদের লোভ হয়েছে। তৃণমূল তাদের উচ্ছেদ করতে চাইছে। এর প্রতিবাদে তিনি সোচ্চার হয়ে ওঠেন। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে।